1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আইএমএফের সহায়তার ১ম কিস্তি আসবে ডিসেম্বরে

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেই আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়ার আশা করছে সরকার। এ বিষয়ে আলোচনা করতে আইএমএফ প্রতিনিধি দল ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। সংস্থাটির কাছ থেকে ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হবে না।

তবে আইএমএফের কাছে চাওয়া সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা তিন কিস্তিতে আসবে। এটা পেতে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের ঋণ দেওয়ার শর্তাদি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঋণ কত তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে তা নির্ভর করছে সংস্থাটির সফররত প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপর। তবে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত হতে পারে এবং ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইএমএফের শর্ত মেনে নিলে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সম্ভব। তবে সে ঋণ পরের বছরের শুরুতে অর্থাৎ আগামী জানুয়ারিতে মিলতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সফররত প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন আইএমএফ বোর্ডে জমা দেওয়া হবে। প্রতিবেদনের পরই ঋণ পাওয়া যাবে।

আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ সবশেষ ২০১২ সালে ঋণ নিয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। ওই সময় ঋণ নেওয়ার আগে কর নীতিতে কিছু সংস্কার এবং ভ্যাট চালু করা হয়। তবে তারা মুদ্রার বিনিময় ও সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইএমএফের সব শর্ত মেনে নিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ ঋণ পাওয়াটা জরুরি। এ ঋণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পরবর্তীতে ঋণ পাওয়ার পথ। যদি এ ঋণ না পাওয়া যায় তবে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ঋণ পাওয়া দুরূহ হয়ে যাবে। আইএমএফের প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে আগামী ডিসেম্বরে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। পরের দুই ধাপের কিস্তি ছাড় হবে শর্তগুলো পূরণের সাপেক্ষে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ মনে করে, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফসহ বিভিন্ন তহবিলে সরবরাহ করা সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারকেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসেবে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, আন্তর্জাতিক হিসাব পদ্ধতির সঙ্গে যা সংগতিপূর্ণ নয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করতে গত বছর থেকে বলে আসছে তারা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও নিজেদের মতো করেই হিসাব করছে।

আইএমএফের মতে, আপৎকালীন আমদানি দায় পরিশোধের মতো অর্থই রিজার্ভ। আর ইডিএফসহ বিভিন্ন তহবিলে সরবরাহ করা অর্থ ‘রেসিডেন্ট টু রেসিডেন্ট’ দায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব হয় আইএমএফের ব্যালান্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টসেন্ট পজিশন (বিপিএম৬) ম্যানুয়াল অনুসারে। গত বছরের সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। সে সময় আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করে রিজার্ভের হিসাব করার পরামর্শ দেওয়া হয়। রিজার্ভের এ হিসাব চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশোধন করার কথা ছিল।


সর্বশেষ - রাজনীতি