1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মিয়ানমারে সঙ্গীত উৎসবে সামরিক বিমান হামলায় নিহত ৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিনে এক সঙ্গীত উৎসবে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। কাচিনে এই বিমান হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলা আশঙ্কা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বেসামরিকদের ওপর হামলায় অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ব্যবহারের অভিযোগ বেশ পুরনো।

রোববার (২৩ অক্টোবর) কাচিনের হপাকান্ত শহরে সঙ্গীত উৎসবে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে। স্পেনে নির্বাসিত মিয়ানমারের একজন সাংবাদিক তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে কাচিনে জান্তার বিমান হামলার তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি ও চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনও এই বিমান হামলার তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে সেখানে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি বলে জানানো হয়েছে।

কাচিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাচিন নিউজ গ্রুপের বরাত দিয়ে সিজিটিএন বলছে, কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত শহরে অনুষ্ঠিত সঙ্গীত উৎসবে রোববার বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কাচিন জাতিগোষ্ঠীর অনেক বিনোদনকারী ও শিল্পীসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

এদিকে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বিষয়টি সামনে আনেন মিয়ানমারের নির্বাসিত সাংবাদিক মরাট কিয়াও থু। সোমবার সকালে এক টুইটে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় গত রাতে হপাকান্ত শহরের বিখ্যাত স্থানীয় কাচিন শিল্পী এবং কেআইএ সৈন্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের ৬২তম মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন।’

পরে আরেক টুইটে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি বলে জানান কিয়াও থু। তিনি বলেন, ‘আপডেট: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনেরও বেশি হয়েছে এবং এখনও গণনা চলছে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের (কেআইও) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও প্রকাশিত হয়নি।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের কাচিন, শান-সহ বেশ কিছু প্রদেশ ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের জাতিগত সংখ্যালঘু বিভিন্ন গোষ্ঠী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরোধিতা ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

এরপর থেকে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। জাতিগত সশস্ত্র কাচিন বিদ্রোহী অধ্যুষিত এসব এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিও আগের তুলনায় বিভিন্ন সময়ই বাড়ানো হয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি