অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হার বেড়েছে। এ সময়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এডিপি বরাদ্দের ৯.৪৩% অর্থ ব্যয় করেছে। এর আগের বছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৮.২৬%। এই সময়ে টাকার অংকে ব্যয় হয়েছে ২৪,১৪৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ১৯,৫৫৯ কোটি টাকা।
বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এসময় জানানো হয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে থেকে দেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপ ও নির্দেশনার কারণে এডিপি বাস্তবায়নে গতি বেড়েছে।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশ কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ১৩.৭৫%, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১২%, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১২%, সেতু বিভাগ ১২.৫১%, স্থানীয় সরকার বিভাগ ১০%, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০.৮৯% এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ১০% অর্থব্যয় করেছে।
তবে বড় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে জাতীয় গড়ের চেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ৬.৪৭%, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩.৯৫%, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ৫.৮%, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ৩.২২% এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৩.৪৯% অর্থব্যয় করেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়ে লাগাম টেনেছে। এ কারণেও অনেক প্রকল্পে অর্থব্যয় করা যাচ্ছে না। এটা না করা হলে এডিপি বাস্তবায়নের হার আরো বাড়তো।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় এ, বি এবং সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। এখনই ব্যয় না করলে তেমন সমস্যা হবে না, এমন প্রকল্পগুলোকে রাখা হয়েছে সি ক্যাটাগরিতে । এসব প্রকল্পের অর্থছাড় বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
বি ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলো বরাদ্দে ৭৫% অর্থব্যয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। এর ফলে এসব প্রকল্পের ২৫% অর্থছাড় করা হবে না। শুরুত্ব বিবেচনায় এ ক্যাটাগরির প্রকল্পে শতভাগ অর্থই ছাড় করবে সরকার। বৈদেশিক অর্থায়নের সব প্রকল্প রাখা হয়েছে এ ক্যাটাগরিতে।