1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জাতির পিতা সম্প্রীতির এই বাংলাদেশই দেখতে চেয়েছিলেন

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২

১৯৭৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিরাজগঞ্জে দেওয়া এক জনসভার ভাষণে বলেছিলেন, ‘শাসনতন্ত্রে লিখে দিয়েছি যে, কোনো দিন আর শোষকেরা বাংলার মানুষকে শোষণ করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। দ্বিতীয় কথা, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের প্রতিনিধিরা দেশ চালাবে, এর মধ্যে কারও কোনো হাত থাকা উচিৎ নয়। তৃতীয়, আমি বাঙালি। বাঙালি জাতি হিসেবে বাঁচতে চাই সম্মানের সঙ্গে। চতুর্থ, আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তার ধর্মকর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্মকর্ম পালন করবে, বুদ্ধিস্ট তার ধর্মকর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা হলো, এই ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।’

আনন্দঘন পরিবেশে এবার বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা সম্পন্ন হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে উপলব্ধ হবে যে, দুর্গা পূজা শুরু হলে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সম্পন্ন বাঙালি সমাজে এক ধরনের চাপা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা শুরু হয়ে যেত। মনের ভেতরে এক অস্বস্তি নিয়ে কাটাতে হতো সবাইকে, না জানি কখন কোথায় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায় কিনা! এবার স্বস্তির সাথে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হওয়ায় হিন্দ- মুসলিম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষই সম্প্রীতি সুরক্ষার কৃতিত্বের দাবিদার। তাই সবাইকে অভিনন্দন জানাই। সবার এই কৃতিত্ব দেখে নিজেকে অহংকৃত মনে করি, গর্বও বোধ করি। অহঙ্কার ও গর্ব বোধ করি এজন্য যে, আমরা ইচ্ছা করলেই সব পারি।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশের গৌরব বাড়াতে পারি তার প্রমাণ এবারের দুর্গা পূজার সফল সমাপ্তি। সাম্প্রদায়িক এই সম্প্রীতির জন্য বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও এ বছর উজ্জ্বল হয়েছে। সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই মিলে বাংলাদেশের এই উজ্জ্বল ভাবমূর্তির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা পাওয়ায় এবার জাতি হিসেবে আমাদের উদার ঔদার্যের যে অবয়ব প্রকাশিত হয়েছে তাইই আবহমানকালের বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির অঙ্গ। এই ইতিহাসচেতনা ধারণ করেই আমাদেরকে একসাথে বাঁচতে হবে, পথ চলতে হবে সবাই মিলে। এরূপ সম্মিলিত বেঁচে থাকার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে হবে। উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার যে মিশন ও ভিশন তার বাস্তবায়নই বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা। সাম্প্রদায়িক হীনতা পরিহারের মধ্য দিয়েই আমরা কেবল কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছুতে পারি।

প্রসঙ্গত আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা সুরক্ষায় কতটা দৃঢ়চেতা ও আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন তার একটি দৃষ্টান্ত মনে করছি। স্বাধীনতা লাভের পর সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গে তার নিন্মরূপ কথোপকথন স্মরণ করলেই আমরা সব ধর্মের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মুক্ত মনের বলিষ্ঠ দৃষ্টান্ত উপলব্ধি করতে পারি। এক আলোচনায় বাদশা ফয়সালের ‘আপনারা কিংডম অব সৌদি আরাবিয়ার নিকট থেকে কী চান?’- প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের পরহেজগার মুসলমানরা পবিত্র কাবা শরিফে নামাজ আদায়ের অধিকার চাইছে। এক্সেলেন্সি, আপনিই বলুন সেখানে তো কোনো শর্ত থাকতে পারে না! আপনি হচ্ছেন কাবা শরিফের হেফাজতকারী। এখানে দুনিয়ার সব মুসলমানের নামাজ আদায়ের হক আছে। [..] আমরা আপনার কছে ভ্রাতৃসুলভ সমান ব্যবহার প্রত্যাশা করি।’ সৌদি বাদশা বঙ্গবন্ধুর এ কথা শুনে জবাবে বলেছিলেন, ‘এসব তো কোনো রাজনৈতিক কথা হলো না। এক্সেলেন্সি, বলুন আপনারা কিংডম অব সৌদি আরাবিয়ার নিকট আসলে কী চান?’ বাদশা ফয়সালের এরূপ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এক্সেলেন্সি, আপনি জানেন, ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। তাই আমি জানতে চাইছি কেন সৌদি আরব আজ পর্যন্ত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না?’ বঙ্গবন্ধুর কথার জবাবে বাদশাহ ফয়সাল বলেছিলেন, ‘আমি করুণাময় আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে জবাবদিহি করিনা। তবু আপনি একজন মুসলমান তাই বলছি, সৌদি আরবের স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ইসলামিক রিপাবলিক করতে হবে।’ বাদশাহর এরূপ প্রস্তাবে দৃঢ়তার সাথে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এটি প্রযোজ্য হতে পারে না। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হলেও এখানে এক কোটির ওপর অমুসলিম রয়েছে। সবাই একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। তাছাড়া এক্সেলেন্সি, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পরম করুণাময় আল্লাহ তো শুধু আল মুসলিমিন না, তিনি রাব্বুল আলামিন। সবার স্রস্টা। ক্ষমা করবেন, আপনাদের দেশের নামতো ইসলামিক রিপাবলিক অব সৌদি আরাবিয়া নয়। বরং মরহুম বাদশাহ ইবনে সৌদের সম্মানে কিংডম অব সৌদি আরাবিয়া। কই আমরা তো কেউ এ নামে আপত্তি করিনি।’ সৌদি বাদশাহর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলাপচারিতাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সম্ভব। কিন্তু প্রাসঙ্গিক কারণে আমরা শুধু সব ধর্মের প্রতি জাতির পিতার সহানুভূতিশীল মনোভাবের দৃষ্টান্তই স্মরণ করলাম। মনে রাখতে হবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সব সময়ই উন্নয়নের পরিপন্থী, উন্নত জীবনযাপনেরও পরিপন্থী। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা সব রকমের সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ধুলিস্মাৎ করেছিলাম। তবু, পরাজিত শক্তি মাঝেমধ্যে ফুঁসে ওঠে! সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা প্রতিহত করতে হবে। আমাদের ভালো লাগছে এবার দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা সেই সাম্প্রদায়িকতার নাগপাশ থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছি বলে।

কুমিল্লাসহ দেশের অন্তত ১৮টি স্থানে গত বছরের সহিংস ঘটনার তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের মন থেকে মুছে যায়নি বলে গত মাসে এক প্রবন্ধে এমনই লিখেছিলাম যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা আসন্ন প্রায়। দুর্গা পূজা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনের ভেতরেও অজানা আশংকা দানা বেঁধে উঠতে থাকে। ভাবছি এবারো না জানি কোথায় কী কৌশলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আসে! বিগত কয়েক বছরের দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় আমাদের মনের ভেতর এরূপ আতঙ্ক ও আশঙ্কাই বাসা বেঁধেছে। তাই উৎসবের আনন্দের চেয়ে ভেতরে ভেতরে চাপা কষ্টের গুঞ্জরণই বেশি ধ্বনিত হয়। পূজার সময় বাইরে বাইরে উৎসবের সাজ-সাজ একটা ভাব থাকে বটে- কিন্তু ভেতর-মহলে সারাক্ষণই আতঙ্ক ও আশঙ্কার দোলাচলে অস্থির চিত্তে উৎকর্ণ হয়েই সময় কাটাতে হয় আমাদের। বিসর্জনের লগ্ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত উৎসব চললেও এর সমান্তরালে ভীতিকর এক ত্রাহি অবস্থাই বিরাজ করে। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া মহল বিশেষের উগ্র উন্মাদনা ইদানীং চারদিকে। হিন্দু সম্প্রদায়কে এই আতংক ও আশঙ্কা থেকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে পূজা শুরুর আগে থেকেই মাঠে তৎপর হতে হবে। তৎপরতা বাড়াতে হবে গোয়েন্দা নজরদারিরও। আমরা চাই না কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠান কিছুসংখ্যক বিপথগামী উগ্রবাদীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়–ক। বাংলাদেশের শাশ্বত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐকতানে সমাজে সুস্থির চিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ এবং সর্বোর্ধ্বে স্থান দিয়ে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল নৃগোষ্ঠীর মানুষকে তাদের স্ব-স্ব ধর্মীয় উৎসবাদি নির্বিঘ্নে ও আনন্দে উদযাপনের সুযোগ দিতে হবে। এবার দেশের সর্বত্র শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সমাপ্ত হওয়ায় সরকারের মনোযোগ ছিল। গোয়েন্দা সংস্থাসমূহও নাশকতা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সদা তৎপর ছিল। নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কথিত ‘হিজরতে’ যাওয়া তরুণদের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও ছিল গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের। তাই সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই কর্তৃপক্ষই ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার। প্রসঙ্গত একটি বিষয়ের উল্লেখ না করলেই নয়, তা হলো এবার দুর্গা পূজার আগে দুএকজন ইসলামি বক্তার ওয়াজও আমাদের ভালো লেগেছে। তারাও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষার জন্য নিজ নিজ ওয়াজ-নসিহতে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যে উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের ঐতিহ্যিক মহিমার প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রীতি সুরক্ষায় মহানবী (স.) এর আদর্শও।

বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নির্ভর জাতিগত ঐক্য সুরক্ষায় প্রাচীনকাল থেকেই কবি দার্শনিকেরা প্রয়াস পেয়েছেন। ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ এমন এক ভূখণ্ড যেখানে হাজার বছর ধরে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে সুখে-দুঃখে বসবাসস করে আসছে। পারস্পরিক আনন্দ-বেদনায়ও ধর্ম নির্বিশেষে বাঙালি একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়েছে। তখন কে কোন ধর্মের তা মুখ্য বিবেচনার বিষয় হয়ে উঠেনি। তবে, ইতিহাস যে একেবারেই নির্ঝঞ্ঝাট তাও নয়। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা সময় সময় ঘটেছেও- মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যই তাই। একসাথে চলতে গেলে অনেক সময় ঝগড়া-ঝাঁটি, কাজিয়া-ফ্যাসাদ হতেই পারে। তার অর্থ এই নয় যে, তারা চিরদিনের বৈরী হয়ে পড়ে। ঝগড়া-ঝাঁটি, কাজিয়া-ফ্যাসাদ শেষে তারা সবাই পুনরায় সমাজে একত্রেই বসবাস করেছে। এটাই বাঙালির চিরন্তন সামাজিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু দুষ্টচক্র সর্বদা সব সমাজেই থাকে। বাংলাদেশও দুষ্টচক্র মুক্ত কোনো দেশ নয়। তবে, সামাজিক এবং প্রশাসনিকভাবে সেসব দূর করাও সম্ভব। সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং সরকারের প্রশাসনিক বিভিন্ন সংস্থা সক্রিয় থাকলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে সমাজে সবার বাসবাস মধুর হয়। মধুরতর হয়ে ওঠে বিভিন্ন ধর্মের বড় বড় উৎসব আয়োজনগুলোও। এবারের দুর্গোৎসব সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং সরকারের প্রশাসনিক বিভিন্ন সংস্থার নজরদারির কারণে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

একথা ঠিক যে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের সব উৎসব পুলিশি পাহারা পরিহারের মাধ্যমে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ ও সমাজের অন্তর্গত মাধুর্য দ্বারা নির্বিঘ্ন করতে পারলেই লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দের কবিতার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা সক্ষম হবো, সক্ষম হবো জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায়ও। এরূপ বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে। হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে। বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।’ এবারের দুর্গোৎসব বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত উক্তিকেই স্মরণ করিয়ে দিল।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ - রাজনীতি