1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গুম গুজব নিয়ে কড়া জবাব দিলেন শেখ হাসিনা 

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশে ‘গুমের ঘটনা’ নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। তবে মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখন মানুষ খেয়েপরে একটু ভালো থাকবে, তখন এ ধরনের (মানবাধিকার) প্রশ্ন উঠবে। তো এখানে কাদের মানবাধিকার? যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, তাদের মানবাধিকার নিয়ে তারা (জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন) চিন্তিত!

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমটি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার প্রচার করে।

এতে প্রধানমন্ত্রীকে সংবাদিক বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে একটি উদ্বেগের কারণ হচ্ছে গুমের ঘটনা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এটা নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বছরের জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৮৮টি গুমের অভিযোগের প্রকৃত অবস্থা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার জবাবে ৫ জন আটক এবং ১০ জন মুক্ত অবস্থায় আছেন বলে বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে জানিয়েছে। আর বাকি ৭০টি ঘটনার কোনো নিষ্পত্তি হয়নি বলে বলছে জাতিসংঘ। এই ৭০টি ঘটনার বিষয়ে আপনারা জাতিসংঘকে কিছু জানাচ্ছেন না কেন বা কবে নাগাদ জানাবেন?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এমন অনেক অভিযোগই অনেকে দেয়। কিন্তু কেউ সেটার প্রমাণ, নাম বা কোনো কিছুই তারা দিতে পারে না। যেখানে এতগুলো নাম দেয়া হলো, তার মধ্য থেকে কয়েকটা ঘটনা সত্য হিসেবে পাওয়া গেছে। সেগুলোর সম্পর্কে ঠিকই প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে। প্রতিবেদন দেয়া হলো কিনা, সেটা তারা নিজেরাই তদন্ত করে দেখুক। তারা সেটা তদন্ত করে না কেন? সেটাই আমার প্রশ্ন।

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় বলা হচ্ছে যে কেউ নেই। পরে আবার দেখা যায় যে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে; সে ঠিকই জীবিত আছে। কেউ আবার অনেক সময় নিজেরাই পালায়। ঋণ করে নিজেদেরকে আড়াল করে রাখেন। সেরকম অনেক ঘটনাই আছে। সেই ঘটনাগুলো কিন্তু খোঁজ করে বের করা হচ্ছে।’

‘তবে হত্যাকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, অগ্নিসন্ত্রাসীদের ব্যাপারে তো কোনো কথা বলে না তারা! যখন বাংলাদেশে জীবিত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হতো, তখন তো মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোচ্চার হয়নি।’- উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে ৩ হাজার ২২৫ জন মানুষকে পোড়ানো হয়েছে। ৫০০’র মতো মানুষ পুড়ে মারা গেছে। ২ হাজার ৮০০’র ওপর গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তখন মানবাধিকারের চেতনা কোথায় ছিল?

‘কিন্তু আমার যারা আমাদের আপনজন হারিয়েছি, আমাদের মানবাধিকার নেই? আমার মতো যারা আপনজন হারিয়েছে, তাদের মানবাধিকার নেই? সে ব্যাপারে তো কোনো কথা নেই!’- যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অদ্ভূত একটা রিপোর্ট তৈরি করে দেয়া হলো না। সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে। সত্যতা বের করতে হবে। বাংলাদেশ যেটা দিচ্ছে, সেটা ঠিক মতোই দিচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যতটুকু রিপ্লাই দেয়ার, সেটা দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু অহেতুক মিথ্যা অপবাদ দেয়াটা কখনো গ্রহণযোগ্য না।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত