1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

‘মুজিবস বাংলাদেশ’ প্রচারণায় ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ ২৭ সেপ্টেম্বর

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ প্রতিপাদ্য নিয়ে মুজিব’স বাংলাদেশ প্রচারণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি)। চার দিনব্যাপী আয়োজিত এই ফেস্টিভ্যাল ২৭-৩০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় এই ফেস্টিভালের উদ্বোধন করার কথা আছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে মোকাম্মেল হোসেন বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজনা করা হয়েছে। র‍্যালিটি আগামী ২৭ সেপ্টেম্ব সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে র‍্যালী শুরু হবে। র‍্যালিটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হতে শুরু হয়ে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে পুনরায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হবে। র‍্যালিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ট্যুরিস্ট-ভেসেল, ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া অংশগ্রহণ করবে বিভিন্ন জেলার পর্যটন পণ্য ও সেবা প্রদানকারীরা। দেশব্যাপী পর্যটনের বিভিন্ন অফারও আয়োজন থাকবে এ উৎসবে। চারদিনব্যাপী আযোজিত বাংলাদেশ ফেস্টিভালে ২০টি হোটেল রিসোর্ট, অঞ্চলভিত্তিক খাবারের স্টল ৭০টি, ডিস্ট্রিক্ট ব্রান্ডিং এর আওতায় ২৯টি জেলা, ক্রাফট স্যুভিনির ২৬টি, এযারলাইন্স দুইটিসহ বিনোদন পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬০টির অধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এ উৎসবে আয়োজন থাকবে বিভিন্ন দেশের খাবারসহ বাংলাদেশের অথেন্টিক ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের। দেশী-বিদেশী ইউনিক ও অথেন্টিক খাবার সম্পর্কে জানার এবং উপভোগ করার সুযোগ থাকবে উৎসবে।

দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে থাকবে জামতলার সাদেক গোল্লা, নকশি পিঠায় নরসিংদি জেলা, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, কুষ্টিযার কুলফি, পুরান ঢাকার হাজীর বিরিযানি, বাকরখানি, মুক্তাগাছার মন্ডা, চট্টগ্রাম এর মেজবান, খুলনার চুইঝাল, বিসমিল্লাহর কাবাব, কুমিল্লার রসমালাই সহ ৬৪টি জেলা থেকে ৭০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী ফুড স্টল। এ উৎসবে তাঁত, জামদানি তৈরীর প্রক্রিয়া দেখা যাবে। আমাদের ঐতিহ্য মসলিন পুনরুদ্ধার হওয়ার গল্প এবং মসলিন তৈরীর প্রক্রিয়া প্রদর্শন করা হবে। আমাদের সকলেরই মসলিন দেখার অপূর্ব সুযোগ তৈরি হবে উৎসবে।

দর্শনার্থীরা তাদের আকর্ষণীয় ট্যুর প্লান তৈরি করতে এ উৎসব সহায়তা করবে। তারা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাকীর্তি, পর্যটন সম্পদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতিটি জেলার পর্যটন আকর্ষণের ছবি দেখার সুযোগ পাবেন।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটক ও পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা, আবাসন, এভিয়েশন পর্যটন খাতে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা এবং পর্যটনশিল্পে নারীর অংশগ্রহণ, প্রত্নপর্যটন, খাদ্যপর্যটন, পর্যটন ও এভিয়েশন সাংবাদিকতা, প্লাস্টিক ফ্রি সেন্টমার্টিন ইত্যাদি বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। চারদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে গম্ভীরা, সিলেটের আঞ্চলিক গান, গাজী কালুর পট, পথ নাটা, বাউল গান, পুথি পাঠ, কাওয়ালী এবং বিশিষ্ট শিল্পীদের গানের আয়োজন।

পর্যটন সচিব বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের জন্য আমরা প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এ ধরণের আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি। এই উৎসব হবে একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে বাংলাদেশের সকল পর্যটন আকর্ষণ জানার সুযোগ তৈরী হবে। বাংলাদেশ ফ্যাস্টিভ্যাল বাংলাদেশের সকল ঐতিহ্যকে যেমন আপনার কাছে উপস্থাপন করবে তেমনি অপরূপ এই বাংলার আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ানোর সকল সুযোগ সুবিধা তুলে ধরবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য্য নিয়ে সাজানো হবে এ উৎসব। যাতে ভবিষ্যতে কাউকে বলতে না হয় ‘দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া। চারদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফুড ফ্যাস্টিভ্যাল, কারুশিল্প, পর্যটন সম্পদের প্রদশনীসহ সব আয়োজনে সকলকে অংশগ্রহণের জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

উৎসবটি আয়োজনে আইএলও, স্পেলবাউন্ড, এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, এমিউজমেন্ট পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সহায়তা করছে। সকল ফেস্টিভ্যালের টাইটেল স্পন্সর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, পরিচালক জামিল আহমেদ প্রমুখ।


সর্বশেষ - রাজনীতি