যতোই ভালো খেলুক, একজন ধর্মান্ধ ক্রিকেটার দেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। দলে ধর্মপ্রাণ খেলোয়াড় অনেকই আছে। তাদের নিয়ে কারুর আপত্তি নেই। ধর্মান্ধতা আর ধর্মপ্রাণ এক নয়। দুটোতে বহু বহু তফাৎ। ধর্মের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গির এই দেশে ধর্মান্ধতা মানবে না কেউ। কারণ খেলোয়াড়রা দেশের গৌরব, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যেরও অংশ। তারা রাষ্ট্রীয় বেতন-ভাতায় চলে। তারা দেশের তরুণ সমাজের অনুসরণীয়। তারা একেকজন ব্রান্ড এম্বাসেডর। পবিত্র কোরআনে জ্ঞানশূন্য মানুষকে অন্ধের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কোরআনের ভাষ্যমতে, এরাই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, মতান্ধ ও সত্যবিমুখ। ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও ব্যবহার না জেনে নিজের স্বল্প জ্ঞানের ওপর গোঁড়ামি করাকে ধর্মান্ধতা বলা হয়।
অপরদিকে ধর্মভীরু হলেন, যারা যথাযথ ধর্ম অনুসরণ করেন। যার ধর্মের বিষয়ে ভয় আছে, ধর্মপালনে যিনি সতর্ক, ধর্মপালন না করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে এরূপ বিশ্বাসী। এমন বিশ্বাসী মানুষকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানও বলা হয়। এ দেশে এই ধর্মপ্রাণ মানুষই বেশি। আলোচিত ক্রিকেটার বয়সে নবীন। তার পোস্টগুলো ধর্মান্ধতার কথাই বলে। নারীদের অবমাননা, ধর্মের নামে ভুল তথ্য সরবরাহ এরকম বহু পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল। যারা তাকে বাহবা দিচ্ছে, না বুঝেই দিচ্ছে। ওই ক্রিকেটার সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্যান্টাসির ফ্যাকড়ায় পড়ে লাইক কমেন্টসের লোভে এরকমটা করেছে হয়তো।
লেখক : লুৎফর রহমান হিমেল – সিনিয়র সাংবাদিক