নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পিপি রকিবুদ্দিন আহমেদ। এদিন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুল ও ডিএনএ পরীক্ষক ডা. রবিউল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও সরকারি কৌসুঁলি অ্যাডভোকেট রকিবুদ্দিন আহমেদ (পিপি) বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এর আগে মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা সেচ্ছায় সোনারগাঁ থানায় তার ছেলেসহ বিস্তারিত অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি নিজে থেকে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামুনুল হক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। সকল সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে মামলার বাদী ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। এরপর সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন ঝর্ণা। তবে ঘটনার দিন থেকেই ঝর্ণাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।