1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিদ্যুতের আলোয় বদলে গেছে রাঙ্গাবালী দ্বীপের মৎস্য-কৃষি অর্থনীতি

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে সাবমেরিন ক্যাবলের বিদ্যুতে বদলে গেছে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালীর মৎস্য ও কৃষি অর্থনীতি। নির্মিত হয়েছে অনেক বরফকল। এতে মৎস্যনির্ভর এ জনপদের মাছ সংরক্ষণ করে পাঠানো যাচ্ছে দেশ ও বিদেশে।

সরেজমিন দেখা যায়, পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান রাঙ্গাবালীর। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, উত্তরে আগুনমুখা, পূর্বে বুড়াগৌরাঙ্গ ও পশ্চিমে রাবনাবাদ নদীবেষ্টিত প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপের নাম রাঙ্গাবালী উপজেলা। ২০১২ সালে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই জনপদ যুগ যুগ ধরে ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন।

২০২১ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এখানে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। এর পরই বদলে যায় মৎস্য ও কৃষিনির্ভর এ জনপদের মানুষের ভাগ্য। একের পর এক গড়ে ওঠে বরফকল। একসময় বরফ সংকটে মাছ নষ্ট হওয়ার ভয়ে কম দামে বিক্রি করলেও এখন সংরক্ষিত মাছ যাচ্ছে দেশ ও বিদেশে।

রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন জানান, বিদ্যুৎ ছিল এ এলাকার মানুষের জন্য স্বপ্ন। এখানকার মানুষ কখনও চিন্তাও করেনি বিদ্যুৎ পাবে। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছায় আধুনিক জীবনযাপনের সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা।

পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব জানান, সংসদ সদস্য হওয়ার পর প্রথম সংসদ অধিবেশনে অবহেলিত রাঙ্গাবালীকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করে তিন নদীর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে চার ইউনিয়নই উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন। সড়কপথে এক ইউনিয়নের সঙ্গে অন্য ইউনিয়নের কোনো যোগাযোগ নেই। এত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েও সব ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ আসার পরই বদলে যায় মানুষের ভাগ্য। নির্মাণ হতে শুরু করেছে শিল্পকারখানা।

তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী থানাকে ২০১২ সালের ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি উপজেলা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানকার ছয় ইউনিয়নে বসবাস করেন প্রায় দুই লাখ মানুষ। পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এর অবস্থান অতি কাছে হওয়ায় রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানান সম্ভাবনা।
পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলাকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনতে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহিনখালীতে ১০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। গলাচিপা নদী ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর (তেতিলিয়া নদী) দুটি শাখার ৫ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার তলদেশ দিয়ে ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এই উপজেলায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়। এ জন্য ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৩ কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১ হাজার ২৪১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের মাধ্যমে ১০৪টি গ্রামে ২৫ হাজার ৩৫৮ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। এই উপজেলাটিকে বিদ্যুতায়ন করতে ব্যয় হয়েছে ২৬০ কোটি টাকা।


সর্বশেষ - রাজনীতি