সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে বিমানবন্দরে নেমে বাফুফে ভবনে আসতে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণা-সানজিদাদের সঙ্গে। রাতে নিজেদের রুমে লাগেজ খুলতেই দেখেছেন নিজেদের ডলার ও টাকা গায়েব! আনন্দের মাঝে তখন বিষাদের ছোঁয়া। তবে এ নিয়ে অনেক চাপান-উতোর চললেও তাদের মাঝে আবার আনন্দ ফিরে এসেছে। আজই (শনিবার) হারানো টাকার বেশি পেয়েছেন কৃষ্ণা-সানজিদারা।
বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। যা হারানো অর্থের চেয়ে বেশি।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘সানজিদা ও কৃষ্ণাদের চুরি যাওয়া টাকা দিয়ে দিয়েছে বাফুফে। বাচ্চা মেয়েদের টাকা হারিয়ে গেছে। আমাদের তো ব্যক্তিগত দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ব থেকে দিয়ে দিয়েছি। এই কারণে যে, তারা যেন খুশি থাকে। মাহফুজা আক্তার কিরণের ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে।’
শামসুন্নাহার সিনিয়য়ের ৪০০ ডলার হারালেও তিনি পেয়েছেন ১ লাখ টাকা। কৃষ্ণা রানী সরকার ৫০০ ডলার ও ৫০ হাজার টাকা হারিয়েছেন। তবে পেয়েছেন দেড় লাখ টাকা। আর সানজিদার ৪০০ ডলার হারালেও তাকে লাখ টাকা মূল্যের আইফোন দেওয়া হয়েছে।
বাফুফের নারী উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘দায়িত্ববোধ, কর্তব্য ও ভালোবাসা থেকে ওদের আমি অর্থ দিয়েছি। ওরা ছোট। ওদের কাছে এই টাকা কোটি টাকার মতো। যা হারিয়েছে তার চেয়ে বেশি দিয়েছি। ওরা যেন বুঝতে পারে মাথার ওপর গার্ডিয়ান আছে।’
হারানো অর্থ ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি খেলোয়াড়রা। আইফোন হাতে নিয়ে উইঙ্গার সানিজদা আক্তার বলেছেন, ‘আমি খুব খুশি, আমার খুব ভালো লাগছে। স্বপ্ন ছিল আমার যে প্রাইজমানি, সেটার সঙ্গে আরও কিছু টাকা যোগ করে আইফোন কিনবো, এখন সেটা পেয়ে গেছি।’
খোয়া যাওয়া টাকা ফিরে পেয়ে খুশি ফাইনালে জোড়া গোল করা কৃষ্ণা, ‘টাকাটা ফিরে পেয়ে খুশি। আমি আজকেই দোকানে যাবো এবং মায়ের জন্য যে মালাটা দেখেছিলাম, সেটা কিনবো।’
শাসুন্নাহারের কণ্ঠেও আনন্দের জোয়ার, ‘আমরা যতটুকু হারিয়েছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। আমরা আসলেই খুশি।’