মনিরুল ইসলাম নামের এক পর্যটক পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন। যারা মারধর করেছে তাদের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন তার স্ত্রী।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াকাটা জিরোপয়েন্ট ফ্রাই মার্কেট সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ মনিরকে হেফাজতে নিলেও উদ্ধার করতে পারেনি ওই গৃহবধূকে। তবে সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মনির।
ভুক্তভোগী মনির বরগুনা জেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর ছিলেন।
ভুক্তভোগী জানান, পাঁচ দিন আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। আমরা সৈকতে ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় রুমে আসি। কিন্তু আমার স্ত্রী নুরে জান্নাত লুলু আমাকে বার বার অনুরোধ করলে, আমরা আবার সৈকতে যাই। সৈকতের জিরো পয়েন্টে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর সে আমাকে বার বার অনুরোধ করে হাঁটাহাঁটি করার জন্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে অন্ধকারে নিয়ে গেলে হঠাৎ ৪-৫ জন লোক আমার ওপর আক্রমণ করে। আমি বাঁচার চেষ্টা করি এবং স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরি। কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে এবং কোনো প্রকার চিৎকার না দিয়ে তাদের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, আমার অনিচ্ছাসত্ত্বেও সেদিকে গেলে হঠাৎ আমার ওপর ৪ থেকে ৫ জন লোক আক্রমণ করে। তখন আমি বাঁচার চেষ্টা করি ও আমার স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরি। তবে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, সে তাদের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
নুরে জান্নাতের বাবা হারুন অর-রশিদ মুঠোফোনে বলেন, আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছি। আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে জানতে পারিনি। জামাই মনিরকে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আমরা দেখব।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের শিকার পর্যটককে উদ্ধার করি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে আমাদের কয়েকটি টিম আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু তার স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। মনিরকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।