“এক পরীমনির কাহিনী দিয়ে হাজার খদ্দের চুপ। পত্র-পত্রিকাও লাফাচ্ছে, সরকার কিছু বলছে না। আদালতও ধমকাচ্ছে- কেন রিমান্ড দিচ্ছেন কেন? এক পরীমনি। … এক পরীমনির মধ্যে তো পরীমনি সীমাবদ্ধ না- এই বাজারটা তো ছোট না। এই বাজারের খরিদদ্বার সব… ।”
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও শরীফ হোসেনের পরিচালনায় এ আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য রাখেন।
গয়েশ্বরের এসব বক্তব্যে সুশীল সমাজ ও নেটিজেনরা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই আপত্তিকর বক্তব্যটি।
সুইচ প্রবাসী বাংলাদেশী ও ব্লগার অমি রহমান পিয়াল ফেসবুকে লিখেছেন, “পরীমনির উচিত এই লোকের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করা। একজন রাজনৈতিক নেতা এমন কথা কিভাবে বলে?”
শওকত খান নামে একজন কমেন্ট করেছেন, “সবচেয়ে বেশি বুকে আঘাত পাবে জাফরুল্লাহ কাকায়। গোয়েশ্বরের (গয়েশ্বরের) পাৎলুন খুলে ফেলবে এসব কথা কাকার কানে গেলে।”
নারীবাদী লেখিকা ও এক্টিভিস্ট শাশ্বতী বিপ্লব ফেসবুকে লিখেছেন, “বিএনপির আন্দোলন কি আর সাধে জমে না? কোন বিষয়ে কি কইতে হইবো, আইজ পর্যন্ত বিএনপি নেতারা সেইটা শিখতে পারে নাই। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকার পতনের ডাক দিসেন। বহুত আচ্ছা৷ দিতেই পারেন৷ কিন্তু সেই ডাক দিতে গিয়া তিনি পরীমনিরে নিয়া যে খদ্দের বাজার তত্ত্ব দিসেন, সেইটা দেইখা হাসি পাইলো।”
শাশ্বতী বিপ্লবের পোস্টে সাইফ তুহিন নামে একজন কমেন্ট করেছেন, “সরকারের পতন তাইলে কবে হইতেছে? ঈদের পরে?”