1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

“ধর্ষিত” মামুনের স্ক্রিনশপ জালিয়াতি ফাঁস : ইলিয়াস সহ সুশীলদের কটাক্ষ

eb-editor : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সাংবাদিক ইলিয়াস সহ নারীবাদী, মানবতাবাদীদের ও সুশীলদের কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মামুনের স্ক্রিনশট জালিয়াতির একটি তথ্যভিত্তিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখাটি লিখেছেন আবদুল্লাহ হারুণ জুয়েল। লেখাটি তুলে ধরা হলো:
হাসান আল মামুনের নিজেকে “ধর্ষিত” দাবি করা আর্তনাদের স্ক্রিনশট দেখে খুব কষ্ট লাগলো। ছাত্রীটি নাকি প্রেমের ফাঁদে ফেলে অডিও ভিডিও করে রেখেছে। ছাত্রীটি তাদের সম্পর্কের বিষয় ভিত্তিহীন স্বীকার করে কেন কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি চেয়েছে – তা আমার বোধগম্য হয় নি। তবে যেহেতু একটি ভিডিও দেয়া হয়েছে তাই জাতিকে মনে করানো হয়েছে, এটা কিন্তু ফেক না। অর্থাৎ এই কনভারসেশন যে সত্যি তার প্রমাণ আছে। আমি মনে করি এর ভিত্তিতেই মুক্তি বা শাস্তি যেকোনো একটি সিদ্ধান্তে আসা যায়।
[ বলে রাখা ভালো: সাধারণ ধর্ষক অধিকার রক্ষা পরিষদ এতদিন ধরে ছাত্রলীগের প্রতি চরম বিদ্বেষ দেখিয়েছে সেটাই ভালো ছিল। কিন্তু এবার সদয় হয়ে ছাত্রলীগের ত্যাগের মহিমা প্রচার করলো, এক ছাত্রলীগ কর্মী দলের জন্য তার প্রেমিকাকে উৎসর্গ করে দিয়েছে! আল্লাহও তাদের এই ছাত্রলীগ প্রীতি সহ্য করেন নাই, তাই স্ক্রিনশট গজব নাজিল হয়েছে।]
মূল কথায় আসি। বিশ্বের যেকোনো দেশেই নারী যদি ভিক্টিম হয়, তার বিচার পাওয়ার পথ মোটেও মসৃণ হয় না। কিন্তু কেউ যদি প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ও মামলা করে, তাহলে পুরুষের জন্য রক্ষা পাওয়ার পথ সত্যিই কঠিন। নুরু মামুনদের ক্ষেত্রে আমার ধারণা ছাত্রীটি ভিক্টিম এবং বিচারের পথ কিছুটা কঠিন। অন্যদিকে ফাঁদে ফেলতে চাইলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে আট মাস ধরে ঐ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাদের কাছে ধর্ণা দেয়ার দরকার হতো না। এখন মামুনের স্ক্রিনশটটি অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে।
যেকেউ স্বীকার করবেন যে, কেউ ফাঁসাতে চাইলে এভাবে অন্তত স্বীকার করবে না। এছাড়া খাপছাড়া কনভারসেশন। তবে ভক্তরা যছ ক্লাসের তাদের কাছে এমন মনোভাব মূল্যহীন। তাই যুক্তিতে আসি। আইটি বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই, আপনার যদি স্বাভাবিক বিচার বিবেচনা বোধ থাকে, তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন স্ক্রিনশটটি কোনো জালিয়াতচক্রের করা, তবে ফাঁক রয়ে গেছে। কারণগুলো বলছি আপনারা মিলিয়ে নিন।
১. স্ক্রিনশটটিতে দেখা যাচ্ছে কনভারসেশন হয়েছে, কিন্তু কোনো তারিখ নেই যা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।
২. স্ক্রিনশট নিয়ে ভিডিও করেছে, কিন্তু দুটোর প্রোফাইল পিকচার এক নয়। ফাতেমার আইডি সম্ভবত এক্টিভ নেই। আইডি একটিভ না থাকলে তার নাম বা ছবি দেখাবে না।
৩. স্ক্রিনশটটির নীচে লেখা রয়েছে “If you reply…. এবং বোল্ড অক্ষরে রয়েছে “I don’t want to hear from….. ” এটি কখন থাকে?
এ লেখা তখনই থাকে যখন আপনার বন্ধু তালিকার বাইরের কেউ আপনাকে ম্যাসেজ পাঠায়। কিন্তু জবাব দেয়ার পরই তা রেগুলার কনভারসেশনে রূপান্তরিত হয় এবং এ লেখাটি আর থাকে না। ম্যাসেজ আদান-প্রদান হচ্ছে এবং এই লেখাও আছে, তা সম্ভব যদি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভিপি নুরের জন্য বিশেষ কোনো আইডি তৈরি করে।
আসলে যা ঘটেছে তা হচ্ছে, ফাতেমা নামে আইডি খুলে কাউকে ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে এবং গ্রাহক আইডি থেকে স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে। আর সেটার ওপরই নিজেদের বানানো কনভারসেশন বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে ফটো এডিটর ব্যবহার হয়েছে যে কারণে খাপছাড়া ম্যাসেজ এসেছে, আসেনি তারিখ সহ আরও কিছু, যা এখানে সবিস্তারে বলতে চাচ্ছি না। এই একটি ইস্যুতেই ধর্ষক পরিষদের মুখোশ খুলে দেয়া যায়।

মানুষের কত রূপ!
হাসান আল মামুনের নিজেকে "ধর্ষিত" দাবি করা আর্তনাদের স্ক্রিনশট দেখে খুব কষ্ট লাগলো। ছাত্রীটি নাকি…

Posted by Abdullah Harun Jewel on Friday, September 25, 2020

ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে রক্ষা পরিষদ তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তাদের প্রায় সকল নেতা এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত গ্রুপে “ধর্ষিতা” মামুনের এই আর্তনাদ শেয়ার করা হয়েছে। তাদের জাহাঙ্গীরনগর শাখার নেত্রী সাথী নাকি “মজা পাইলে মামলা করা” মানবতাবিরোধী “ফাচুকি” বলে বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন। কয়েকটি মিডিয়াও ধর্ষিতা মামুনের এই কান্না শুনেছেন। কিন্তু অথেনটিসিটি যাচাই না করে এ ধরণের কিছু প্রকাশ করা মানহানি বা সাইবার ক্রাইম কিনা তা তারা হয়তো অবগত আছেন। তবে একজন নির্যাতিতার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। যে ভুক্তভোগীটি ফেসবুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ্য করছে, তাকে জাতির সামনে খলনায়িকা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা খুবই দুঃখজনক।
একজন নারী প্রস্টিটিউট হলেও তার কন্যা-জায়া-জননী পরিচিতি গৌন হয়ে যায় না, তার বিচার পাওয়ার অধিকারও রহিত হয়ে যায় না। আমি কখনোই বিশ্বাস করি না যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রী তার বর্তমান ও ভবিষ্যতকে ঝুঁকিতে ফেলে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু অবাক হচ্ছি, আমার এই বিদ্যাপীঠের যারা মাঝরাতেও নির্যাতিতার জন্য মাঠে নেমে আসে, তারা আজ নীরব। ঘানিতে ভাঙ্গা সরিষার তেলের মতো “খাঁটি এক নম্বর দেশপ্রেমিক” সাংবাদিক ইলিয়াস বিদেশ থেকে জাতির বিবেক হয়ে অন্যায় হলে তথ্য দেয়ার জন্য নারীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনিও নীরব, কারণ এতে সরকার বিরোধিতার সুযোগ নেই। যেহেতু ধর্ষকের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই, তাই সুশীল সমাজ বা নারী সংগঠনগুলোর সহানুভূতি বা সহমর্মিতাও জাগছে না। আমি জানি না ভবিষ্যতে কোন নৈতিকতার বলে তারা আবার কারো বিচার চাইবেন!


সর্বশেষ - রাজনীতি