গতকাল বিকেলে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলায় শরণার্থীদের আগমন অব্যাহত রয়েছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা নারী ও শিশু বলে গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও পুরুষের সংখ্যা কম নয়। সম্প্রতি আগতদের অধিকাংশই পুরুষ। তাই পুরুষরা আরাকানে যুদ্ধ করছে এবং নারী ও শিশুদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বা হচ্ছে বলে যে প্রচারণা রয়েছে তা যথার্থ নয়।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্লেষকরা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই অভিমত প্রকাশ করছেন।
এদিকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপক আগমনের কারণে নতুন একটি শরণার্থী শিবির তৈরির জন্য সরকারের কাছে জমি বরাদ্দ চেয়েছে জেলা প্রশাসন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান শিবিরগুলোতে আর কোন শরণার্থীর স্থান সংকুলান হবে না বিধায় আমরা এই অনুমোদন চেয়েছি।
জাতিসংঘের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে আরো ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সেখানে পাহাড়ি সীমান্তে আরো হাজারো রোহিঙ্গা মুসলিম এদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।
ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র ভিভিয়ান টুন কক্সবাজারে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হিসাব মতে, আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে । গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবেশ করেছে ৩৫ হাজার।