1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দানকর পরিশোধের মাধ্যমেই ইউনূস স্বীকার করলেন কর ফাঁকির অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩

প্রেক্ষাপট

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড . মুহাম্মদ ইউনূসকে গত ৩১ মে ১২ কোটি টাকা আয়কর দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরবর্তীতে আদালতে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন ড . ইউনূস । সে আবেদন খারিজ হওয়ার পর গত ২৫ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ( এনবিআর ) পাওনা ১২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার দানকর পরিশোধ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড . মুহাম্মদ ইউনূস ।

ঘটনার সূত্রপাত ও আইনি ধারাবাহিকতা

● ঘটনার শুরু ২০১১ সালে । ২০১১-১২ , ২০১২-১৩ , এবং ২০১৩-১৪ কর বছরে , প্রফেসর ইউনূস ৭৬ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন তিনটি ট্রাস্টকে । ট্রাস্ট তিনটি হলো , প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনূস সেন্টার ।

● এ অনুদানের ফলে , আয়কর আইন অনুযায়ী তার আয়কর পরের কর বছরে ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। এ ধরনের অস্বাভাবিক হ্রাস জাতীয় রাজস্ব ব্যুরোর ( এনবিআর ) দৃষ্টি আকর্ষণ করে । নিরীক্ষার পর এনবিআর উপহার কর আইনে এসব উপহারের বিপরীতে ১৬ কোটি টাকা দাবি করে।

● কিন্তু ড . ইউনূসের আইনজীবীর দাবি , যেহেতু মি. ইউনূস মৃত্যুচিন্তা ও নিকট আত্মীয়দের কল্যাণের কথা ভেবে ওই টাকা দান করেছেন, ফলে তিনি দানকর আইন অনুযায়ী কর অব্যাহতি পাবেন।

● কিন্তু এনবিআর – এর দাবি , দানকর আইন অনুযায়ী দান যদি পুত্র , কন্যা , পিতা , মাতা , স্বামী , স্ত্রী , আপন ভাই অথবা আপন বোনকে করা হয় তবে করদাতা কর অব্যাহতি পাবেন ।

● কিন্তু এসব সম্পদের নথিতে দেখা যাচ্ছে , ড . ইউনূস দান করেছেন ট্রাস্টে। এর মধ্যে ইউনূস সেন্টারের তিনজন ট্রাস্টির মধ্যে একজন ট্রাস্টি দাতা ড . ইউনূস নিজেই। আবার প্রফেসর ড . মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট ও ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্টের ট্রাস্টিরা করদাতার নিকট আত্মীয় নন। ফলে এ ক্ষেত্রে তিনি কর অব্যাহতি পেতে পারেন না ।

● মূলত ট্রাস্টের অর্থের কর না দেওয়ার মতলব থেকেই এমন কাজ করেছিলেন ড . ইউনূস । আইনি যুক্তিতে এই তথ্যই উঠে আসে । এটর্নি জেনারেল এডভোকেট আমিন উদ্দীন জানান , ‘ দানকরের সংজ্ঞায় কোনভাবেই এটা আসবে না । ‘

ট্রাস্টের গঠনতন্ত্র

ড . ইউনূসের গড়া এই ট্রাস্টগুলির গঠনতন্ত্রও বেশ চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করে ।

● ট্রাস্টগুলোর এমন বিধান রয়েছে যার জন্য প্রফেসর ইউনূস ও তার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে ট্রাস্টের অর্থেই ।

● ট্রাস্টের সমাজসেবা দলিলের চুক্তির নয় নাম্বারে বলা হয়েছে , ” To maintain the settlor , his wife prof Afrozi Yunus , his daughters Monica Yunus and Deena Afroz Yunus as hereinafter provided . ”

● অর্থাৎ , এ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে এর প্রতিষ্ঠাতা, তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক আফরোজি ইউনূস, দুই কন্যা মনিকা ইউনূস, দীনা আফরোজ ইউনূস ও তার পোষ্যদের রক্ষার জন্য ।

দাতাও তিনি গ্রহীতাও তিনি

● অনুসন্ধানে দেখা যায় , আয়কর নথিতে ট্রাস্টের দাতা যেমন মুহম্মদ ইউনূস , আবার গ্রহীতাও তিনিই ।
● নিজের পরিবারের ব্যয়ের টাকাও এ ট্রাস্ট থেকেই নিয়েছেন বলে নথিতে দেখা যায় ।
● উৎসব আপ্যায়নের জন্য ৪৭ লাখ , টেলিফোন বিল হিসেবে ৩৫ হাজার টাকার বিল নথিতে উল্লেখ আছে ।
● কিন্তু আইনে আছে ট্রাস্টে দান করলে সেখান থেকে আবার বাসার খরচ বা অন্যান্য খরচ তিনি নিতে পারেন না। তাই সমাজসেবার নামে এ ট্রাস্টকে কর ফাঁকির আয়োজন বলছেন এটর্নি জেনারেল এডভোকেট আমিন উদ্দীন।

দানকর পরিশোধ ও অপরাধ স্বীকার

● আদালতে আপিলের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে একটি পে – অর্ডারের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করেন ড . ইউনূস। সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে এ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।

● ড . ইউনূসের পক্ষে তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মো . রুহুল আমিন সরকার সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় এ টাকা জমা দেন। পাশাপাশি বকেয়া দানকর প্রদান করে এ – সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়ে কর কমিশনারকে অবহিত করেন তিনি ।

● এই দানকর পরিশোধের মাধ্যমে কার্যত দানকর ফাঁকির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ড . ইউনূস।


সর্বশেষ - রাজনীতি