দেশে এই প্রথম পোশাক কারখানায় গিয়ে কর্মরত নারী শ্রমিকদের দেয়া হচ্ছে ধনুষ্টঙ্কার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন। ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীর সুরক্ষায় বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দিচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে গাজীপুরের দুই লাখ নারী শ্রমিককে দেয়া হবে এই ভ্যাকসিন। কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকলে বাড়বে উৎপাদন, সেই সঙ্গে বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগও।
দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর প্রায় ৮০ ভাগই নারী শ্রমিক। কর্মস্থলে সুঁই-সুতো নিয়ে কাজ করতে হয় তাদের। অসাবধানতাবসত প্রায়ই হাতে সুঁই ঢুকে যায়। অসচেতনতার কারণে অনেকেই নেন না টিটেনাস টিকা। এছাড়া নানা সীমাবদ্ধতা, লোক লজ্জার ভয়ে জরায়ুর সমস্যায় চিকিৎসা নেন না অনেক নারী শ্রমিক। এতে নারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধনুষ্টঙ্কার ও জরায়ুর মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
নারী শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ধনুষ্টঙ্কার রোগ প্রতিরোধী টিডি ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করেছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। গাজীপুরের স্টাইলিশ গার্মেন্টস লিমিটেডের তিন শতাধিক শ্রমিককে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
স্টাইলিশ গার্মেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নারী শ্রমিকদের সুষ্ঠু কাজের পরিবেশের পাশাপাশি আমরা এখন তাদের স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছি। এ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের মাধ্যমে পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় নতুন দিক উন্মোচিত হল।’
কর্মজীবী নারী শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের সুরক্ষায় কর্মস্থলে গিয়ে বিনামূল্যে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২ লাখ ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে জানান গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, এরইমধ্যে ২২ হাজার নারী শ্রমিক টিকার জন্য নিবন্ধন করা হয়েছে।