1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মেট্রোরেলে যাত্রীর সংখ্যা, বাড়ছে প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩

পূর্ণাঙ্গভাবে এখনও চালু হয়নি মেট্রোরেল। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রথম অংশ চালুর পর থেকেই নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে সকাল ৮টা ও রাত ৮টার দিকে আগারগাঁও-উত্তরা রুটে অফিসগামী ও ফেরত যাত্রীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন হিসেবে মেট্রোরেল এখন জনপ্রিয়। পাশাপাশি এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে যেতে স্থানীয় যাত্রীদেরও আগ্রহ বেড়েছে মেট্রোরেল ব্যবহারে।

যাত্রীরা বলছেন, মেট্রোরেল চিরাচরিত যাতায়াতের ভোগান্তি দূর করে স্বস্তি এনে দিয়েছে নাগরিক জীবনে। তবে বর্তমানে যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে, এর পাশাপাশি আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাশা করছেন তারা।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) আগারগাঁও ও মিরপুর ১০ স্টেশনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বল এসব প্রত্যাশার কথা জানা যায়।

মেট্রোরেলের চলাচলের সময় বৃদ্ধি

বর্তমানে মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচলে করছে। তবে এই সময় আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন যাত্রীরা। বিশেষ করে সকাল ৮টার পরিবর্তে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল ৭টা থেকে যেন মেট্রোরেল চলাচল করে।

চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমিসহ অনেকের অফিস টাইম থাকে সকাল ৮টা থেকে। আর এই ৮টার সময় মেট্রোরেল চালাচল শুরু হলে সময়মতো অফিসে পৌঁছানো যায় না। কিন্তু ঝামেলা ছাড়া যাতায়াতে অনেকে মেট্রোরেলই ব্যবহার করেন। এতে আধা ঘণ্টা বা পৌনে এক ঘণ্টা লেট হয়। অফিস তো আর প্রতিদিন লেট মানবে না। তাই ইচ্ছে থাকলেও সব সময় মেট্রোরেলে করে অফিসে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই আগের মতোই সকালে দুই ঘণ্টা হাতে রেখে বাসে করে অফিস যেতে হয়। আমি মনে করি সকাল ৭টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করলে পারফেক্ট হয়।

রাতেও কিছুটা সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে শামসুল রহমান নামে আরেক যাত্রী বলেন, সকালে এক ঘণ্টা বাড়ানো তো এখন সব যাত্রীরই চাওয়া। পাশাপাশি রাত ৮টার পরিবর্তে অন্তত ৯টা পর্যন্ত চালু রাখে, তাহলে সবাই উপকৃত হবে। অফিস থেকে বের হতেই অনেকের ৮টা বেজে যায়। মেট্রোরেল তো এখন সবাই ব্যবহার করে অভ্যস্ত হচ্ছে। তাহলে এই সময় বাড়াতে সমস্যা কোথায়?

এমআরটি পাসধারীদের সুবিধা বৃদ্ধি

লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটার ভোগান্তি দূর করতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট পাস চালু করেছে। এতে সরাসরি গেট পাস করে মেট্রোরেলে চড়া যাবে। তবে এখনও অধিকাংশ যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে একক যাত্রার টিকিটের জন্য অপেক্ষা করে।

এতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা, ভাঙতি টাকাজনিত সমস্যা, টিকিট মেশিনে কার্ড শেষ হয়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এ ক্ষেত্রে এমআরটি পাসে বিশেষ সুবিধা বাড়িয়ে দিলে যাত্রীরা পাস কিনতে আগ্রহী হবে। আবার ঝামেলা থেকেও মুক্তি মিলবে বলে মনে করেন অনেক যাত্রী।

মোস্তফা ফাহিম নামে এক যাত্রী বলেন, এমআটি ও র‍্যাপিড পাসধারীদের ক্ষেত্রেবিশেষ ছাড় ও রাত ১০টা পর্যন্ত যাতায়াতের সুযোগ বাড়িয়ে দিলে যাত্রীদের এই কার্ড নেওয়ার প্রবণতা বাড়বে। তখন সিঙ্গেল ট্রিপের টিকিট বিক্রির জন্য মেট্রোরেলে বাড়তি লোকবল লাগবে না। আবার টিকিট কাটার যে চাপ থাকে, সেই চাপও অনেক কমে যাবে।

টয়লেটের ফি কমানো

সম্প্রতি মেট্রোরেল স্টেশনে টয়লেট ব্যবহারে ১০ টাকা ফি ধরা হয়েছে। এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে বৈশাখী সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড। তবে টয়লেটের ফি ধরায় আপত্তি জানিয়েছেন অনেক যাত্রী। অনেক যাত্রী বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে দেখছেন। তবে ফি কমানোর সুপারিশ করেন তারা।

সাইফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া তো কম নয়। সেখানে আবার টয়লেটের জন্য আলাদা চার্জ করাটা ঠিক হচ্ছে না। আমি আশা করবো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি সদয় দৃষ্টিতে দেখে।

টয়েলেটের ফি ৫ টাকা করার দাবি জানিয়ে মো. আমিন নামে এক যাত্রী বলেন, মেট্রোরেল যেহেতু আধুনিক একটি ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা, এর পরিচালন ব্যয়ও বেশি। সে খরচ তুলতে টয়লেটে ফি নির্ধারণ করতেই পারে। তাই বলে ১০ টাকা বেশি হয়ে যায়। এটা ৫ টাকা করলে ভালো। আমি একদম ফ্রি করতে বলছি না কারণ ফ্রি হলে মানুষ টয়েলটকে নোংরা করে ফেলবে। এই টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য খরচ আছে। তাই নিজেদের ভালোর জন্যই ৫ টাকা ফি ঠিক আছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সময় বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্যার জানাতে পারবেন। তবে আমি শুধু বলতে পারি, সময় বৃদ্ধির জন্য আমাদের একটা ফর্মেটে আসতে হবে আগে৷ সামনে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হবে। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সবার জন্য যা ভালো হয়, সেভাবে আগানো হবে।

এমআরটি পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, এমআরটি পাসে ইতোমধ্যে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনও যাত্রী যদি এমআরটি পাস ব্যবহার করে যাতায়াত করে, তাহলে তিনি ৯০০ টাকা ব্যয়ে ১০০০ টাকার যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ ১০ পার্সেন্টের একটি বিশেষ বোনাস পাবে। এ ছাড়া কিছু ব্যাংক থেকে কার্ড কেনার ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়।

মেট্রোরেল স্টেশনে টয়লেট ব্যবহারে ১০ টাকা ফির বিষয়ে ডিএমটিসিএলের এই পরিচালক বলেন, আমাদের প্রত্যেক স্টেশনে দুজন করে লোক নিযুক্ত থাকে এই টয়লেট পরিষ্কারের জন্য। তাদের রাখতে একটা ব্যয় আছে। সেই ব্যয় তুলতেই এই টাকা ধার্য করা হয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি