1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিকার কেন জরুরি

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩

শোকের মাস চলছে। এক দিন পর জাতীয় শোক দিবস, ১৫ আগস্ট। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কালো অধ্যায়টি রচিত হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

ভাগ্যক্রমে বিদেশে থাকায় বেঁচে যান দুই মেয়ে। ছোট শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, নববধূ—কাউকে হত্যাকারীরা রেহাই দেয়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আছে। কিন্তু এত বড় হিংস্র জিঘাংসার উদাহরণ কোথাও নেই।

হাতের মেহেদি শুকায়নি, এমন নববধূকে হত্যা করার প্রয়োজন হলো কেন, কেনই বা নিষ্পাপ শিশু রাসেলও রেহাই পেল না। যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব স্বঘোষিত হত্যাকারীকে পুরস্কৃত করল, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে চাকরি দিল, তারা তো বাংলাদেশের মানুষের কাছে অচেনা নয়। এ দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। সুতরাং সব প্রশ্নের উত্তর তো তাদের দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকে সেই উত্তর আদায় করতে হবে।

রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে সব ধরনের রাহুর কবল থেকে মুক্ত করতে হলে এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর তাদের কাছ থেকে আদায় করার বিকল্প নেই। উল্লিখিত প্রশ্নের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত কি গণতন্ত্র নিরাপদ? মানুষের অধিকার কি সুরক্ষিত? জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র পাওয়ার জন্য এসব প্রশ্নের উত্তর আদায় করা অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে যারা এই খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, তারা কি একটিবারের জন্যও অনুতপ্ত হয়েছে? হয়নি। বরং তারা এখনো স্লোগান দেয়, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।

তারা এখনো জাতির পিতার ছবি বা প্রতিকৃতি পেলে ভাঙচুর করে। কিন্তু শেখ মুজিবের অপরাধ কী, সে কথা তারা বলতে পারে না। তাহলে কেন এত জিঘাংসা। এ রকম জিঘাংসা পোষণ করতে পারে শুধু পাকিস্তানিরা। কোনো বাঙালি এটা করলে সে তো বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারে না। তারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাহলে জাতির পিতার হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করার জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাদের কড়জোরে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ ওই খুনিরা শুধু একজন রাষ্ট্রপতিকে নয়, ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছে।

পঁচাত্তরের পর রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহী সামরিক শাসক মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন, চিন্তা-চেতনা বলতে যা কিছু বোঝায় তার সব কিছু যখন সামরিক আদেশ দ্বারা বাতিল করে দিলেন তখন বাংলাদেশ শব্দটি ব্যতিরেকে বাংলাদেশের আর কিছু থাকল না। এই কাজটি করলেন তিনিই, যিনি ওই স্বঘোষিত খুনিদের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় পদে অধিষ্ঠিত করার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বলতে কিছু রাখা হবে না, এটাই ছিল খুনি এবং তাদের যারা পুরস্কৃত করেছে, সবার সম্মিলিত উদ্দেশ্য। সুতরাং উপরোক্ত দুয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে কি? একই কারণে ২০০১-০৬ মেয়াদে তারা ক্ষমতায় বসে বলেছে, এ দেশে কখনো কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। সুতরাং বিষয়টি স্পষ্ট এবং হত্যাকারীরা সুপরিচিত। তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে বহাল আছে। আরো বিপজ্জনক হলো, বাংলাদেশের তথাকথিত একটি নিরপেক্ষ গোষ্ঠী এই হত্যাকারী ও তার ভিকটিমদের একই পাল্লায় মাপছে। তাই ৪৮ বছরের মাথায় এসে আজ যেটা সবচেয়ে বেশি জানা প্রয়োজন সেটি হলো, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট বা ক্ষেত্রটি কিভাবে তৈরি হলো। কারণ প্রেক্ষাপট তৈরি করতে না পারলে হঠাৎ করে কেউ ১৫ আগস্ট ঘটাতে পারত না। এটা আরো জরুরি এই কারণে যে ওই একই সম্মিলিত গোষ্ঠী ওই একই কারণে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। একাত্তরের পরাজিত বাংলাদেশি পক্ষ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রেক্ষাপট তৈরি করার কাজটি সুচারুভাবে করতে সক্ষম হয়। তবে রাষ্ট্রের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন যদি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত না হতো, তাহলে উপরোক্ত পক্ষদ্বয় সহজে সফল হতে পারত না।

এ এস এম সামছুল আরেফিন রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান’ গ্রন্থ থেকে এ সম্পর্কে দু-একটি তথ্য তুলে ধরি। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর যাঁরা সহযোগী ও অনুগত ছিলেন তাঁদের মধ্যে বেসামরিক প্রশাসনের ১৪ সচিবসহ শুধু অফিসারই ছিলেন ২৬৭ জন। একজন বাঙালি সচিবও মুক্তিযুদ্ধে যাননি। পুলিশের শুধু ডিএসপি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন ১০৪ জন। সশস্ত্র বাহিনীর ছিলেন ৯৫ জন অফিসার, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশে ছুটি ভোগ করেছেন; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেননি। তাঁদের সুবিধাবাদী ও কাপুরুষ বললে নিশ্চয় ভুল বলা হবে না। বিপরীতে ২৪ জন সামরিক অফিসার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানিদের সহযোগী—এই দুয়ের মনমানসিকতা, চিন্তা-চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গির বিশাল পার্থক্য হবে, সেটাই স্বাভাবিক।

বেসামরিক প্রশাসনের সব জায়গাই ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা পাকিস্তানের সহযোগী ছিলেন, তাঁরাই ১৭ ডিসেম্বর থেকে সব শীর্ষ পদ-পদবিতে বসে গেলেন। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান থেকে বাঙালি অফিসাররা ফিরে আসার পর পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়। সশস্ত্র বাহিনীর বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের কোনো ভূমিকা থাকে না। কারণ বিপরীত পক্ষের সংখ্যা যেমন অনেক বেশি হয়ে যায়, তেমনি তাঁরা অনেক সিনিয়রও ছিলেন। ম্যাকিয়াভেলি ‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থে বলেছেন, সুবিধাভোগী ও কাপুরুষরা চাটুকারিতা ও তোষামোদিতে পটু এবং কিছুটা করিতকর্মা হয়। যার কারণে অনেক সময় রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁদের সঠিক চরিত্র ধরতে পারে না। কাপুরুষোচিত চরিত্রের কারণে তাঁরা সব সময় বীরদের প্রতি চরম হিংসা, ঈর্ষা ও বিদ্বেষ পোষণ করেন। সব সময়ই সুযোগের সন্ধানে থাকেন। সুযোগ পেলেই বীর ও বীরত্বের সব কিছু বিনাশ করতে উদ্যোগী হন এবং একটুও দ্বিধা করেন না। ১৯৭৫ সাল ও তারপরে বাংলাদেশে সেটাই ঘটেছে।

প্রশাসন সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট দু-একটি উদাহরণ দিই। রাষ্ট্রের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (এনএসআই) প্রধান ১৯৭৫ সালে ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এ বি এম সফদার। জানা যায়, এই সফদার সাহেব পাকিস্তান রাষ্ট্রের আদর্শের প্রতি অত্যন্ত অনুগত, অর্থাৎ পাঞ্জাবিদের চেয়েও বেশি পাকিস্তানি ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা নগরীতে পুলিশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সব হত্যাযজ্ঞ ও অপকর্মের সহযোগী হয়েছেন। অথচ বছর না ঘুরতেই তিনি হয়ে গেলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। অন্যদিকে ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের বন্দি ক্যাম্প থেকে ফেরত এসেই সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আরেক সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের প্রধান হলেন। অথচ নিরাপত্তা বিষয়ের মৌলিক শিক্ষা, শত্রুর বন্দি ক্যাম্প থেকে ফেরত আসার পর অন্তত একটা যৌক্তিক সময় পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ না করে কাউকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেওয়া উচিত নয়।

আরেকটি ঘটনা। অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের লেখা ‘বাংলাদেশ, এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইয়ে চট্টগ্রামের হালিশহরে ওই সময়ে অবস্থানরত একজন বিহারি অন্ধ হাফেজ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। তখন প্রচার ছিল, তিনি নাকি একজন কামেল পীর, ভূত-ভবিষ্যৎ বলতে পারেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট খুনি ফারুক রহমানের স্ত্রী ফরিদা রহমান হালিশহরে ওই অন্ধ হাফেজের কাছে যান এবং ফারুকরা সে রাতেই কাজ সম্পন্ন করতে চাচ্ছেন, এই মর্মে তাঁর পরামর্শ চান। এই অন্ধ বিহারি হাফেজ ছদ্মবেশে যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্লান্টেড লোক ছিল সেটা বোঝা যায় যখন সে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য ফাইনাল সবুজ সংকেত দেয় ফারুকের স্ত্রী ফরিদা রহমানের মাধ্যমে। উল্লিখিত বইয়ের বর্ণনায় আছে, ফারুকের স্ত্রী পরামর্শ চাওয়ার প্রত্যুত্তরে বিহারি হাফেজ অতিসত্বর কাজ সেরে ফেলার পরামর্শ দেন।

তথাকথিত বিহারি এক পীর কয়েক বছর ধরে আইএসআইয়ের পক্ষে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলেন, অথচ তার কোনো কিছুই আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতে পারল না। সবাই জানেন বঙ্গবন্ধু নিহত হন ১৫ আগস্ট ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে। কিন্তু ট্যাংক, গোলন্দাজ বাহিনীর বড় বড় কামান এবং ট্রাকভর্তি গোলাবারুদসহ বিশাল সৈন্য বহর নিয়ে খুনিরা ঢাকা সেনানিবাস থেকে শহরের দিকে যেতে থাকে রাত ১২টার পর পর। এসবের কিছুই এনএসআই, ডিজিএফআই এবং রাষ্ট্রের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা কেউ জানলেন না, বুঝলেন না। সুতরাং স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই কারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তা এখন সবাই জানে। কিন্তু সমস্যা হলো, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে তারা এখনো এতটাই শক্তি রাখে যে পঁচাত্তরের খুনিদের সঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও খুনিদের পুরস্কৃত করাসহ বাংলাদেশের মৌলিক চরিত্রকে হত্যা করার পরও সচেতন মানুষ তাদের এসব অপকর্মের কথাগুলো স্পষ্টভাবে বলেন না, সযত্নে এড়িয়ে চলেন। এটাও সুবিধাবাদী চরিত্র। কারণ তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটাও বড় এক সংকট। তারা যে আবার ক্ষমতায় আসবে না, এ ব্যাপারে মানুষ নিশ্চিত হতে পারছে না। এই সুবিধাটি পাচ্ছে পঁচাত্তরের হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা। মানুষ যদি একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্যকে সত্য, সাদাকে সাদা এবং মিথ্যাকে মিথ্যা ও কালোকে কালো বলত, তাহলে এত দিন ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিদায় হয়ে যেত। ষড়যন্ত্রকারী রাজনৈতিক পক্ষ মোটাদাগে ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারক ও বাহক এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাজনৈতিক মূল্যবোধের ঘোরবিরোধী। দেশের যতই উন্নয়ন হোক, মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার যতই পরিবর্তন ঘটুক, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী রাজনৈতিক পক্ষকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না, এটাই তাদের সংকল্প। এর জন্য তারা কখনো ধর্মের অপব্যাখ্যা, কখনো আবার দেশ ধ্বংসের তত্ত্ব এবং গণতন্ত্রের নিজস্ব ব্যাখ্যা নিয়ে মিডিয়া কাঁপিয়ে বেড়ায় এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। একবারও বলে না তাদের রাজত্বকালে বাংলাদেশ কেমন ছিল, গণতন্ত্রের কী অবস্থা ছিল। মানুষ তাদের বিশ্বাস করবে কিসের ভিত্তিতে, তাদের রেকর্ড তো মানুষের জানা আছে। তখন তো বিশ্বের থিংকট্যাংক ও মিডিয়া হাউস শঙ্কা প্রকাশ করেছে এই মর্মে যে পরবর্তী আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, মর্যাদা ও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য নতুন প্রজন্মসহ সবাইকে পঁচাত্তরের হত্যাকারী এবং তাদের যারা পুরস্কৃত করেছিল তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

লেখক: মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) –  রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

সূত্র: কালের কন্ঠ


সর্বশেষ - রাজনীতি