1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ক্ষমতা দখলে ‘লোভী’ সিভিলিয়ান খুঁজে নেন জিয়াউর রহমান

উদিসা ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আক্রমণ করে উচ্চাভিলাষী কিছু সেনা কর্মকর্তা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এর পরদিনই খন্দকার মোশতাক আহমদ ক্ষমতা গ্রহণ এবং মন্ত্রিসভা গঠন করেন। খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার বাণিজ্যমন্ত্রী থেকে সোজা রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। গবেষকরা বলছেন, মোশতাক কেবল সামনে থাকা একজন ‘লোভী’ সিভিলিয়ান। তাকে দিয়ে কার্যসিদ্ধি হওয়া মাত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় ক্ষমতা থেকে। শুরু থেকেই জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিতে চেয়েছেন এবং তিনি সিভিলিয়ান রাজনীতিকদের সামনে রেখে পরিস্থিতি পক্ষে আনার কালক্ষেপণ করেছেন মাত্র।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে একের পর এক নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় মোশতাককে। যারা তাকে সমর্থন করতে এবং তার মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন—সেই সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান, এম মনসুর আলী, আবদুস সামাদ আজাদসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ২৩ আগস্ট বন্দি করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী থেকে একদলীয় (বাকশাল) শাসন পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ বা বিচার যাতে না করা যায়, সেই দায়মুক্তি দিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন।

একটার পর একটা সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শেষ হলে ৮৩ দিনের মাথায় ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে এক অভ্যুত্থানে মোশতাককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা থেকে শুরু করে পরবর্তী স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা পর্যন্ত মোশতাককে ব্যবহার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের সাক্ষ্য প্রমাণে উঠে আসে—এসব পরিকল্পনার পেছনে ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতা লাভের নেশায় মোশতাককে সামনে রেখে তার স্বার্থসিদ্ধি করে গেছেন।

জিয়ার সংশ্লিষ্টতার কয়েকটি প্রমাণ

হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২০ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী (আবাসিক) মহিতুল ইসলাম। তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তৎকালীন পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) নুরুল ইসলাম (পরে এসপি), বঙ্গবন্ধুর সেনারক্ষী হাবিলদার কুদ্দুস সিকদার, নায়েক সুবেদার আবদুল গনি, সেনা সদস্য সোহরাব আলী প্রমুখ। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর বাড়ির গৃহকর্মী আবদুর রহমান রমা ও সেলিমও প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাদের বর্ণনায় জানা যায়, কী ঘটেছিল সেই রাতে।

খন্দকার মোশতাক বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পলিসির ব্যাপারে বিদ্বেষমূলকভাবে কটাক্ষ করতেন উল্লেখ করে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম তার জবানবন্দিতে স্পষ্ট করে বলেন, ‘জুন-জুলাইয়ে (১৯৭৫) দাউদকান্দি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে পরিবার-পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের সম্মেলন হয়। সেখানে মোশতাক সাহেব, তাহের উদ্দিন ঠাকুর এবং আমি নিজে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে মেজর খন্দকার আবদুর রশীদ, মেজর ফারুক, মেজর শাহরিয়ার এবং আরও কয়েকজন সামরিক অফিসার আসেন। সম্মেলন শেষে খন্দকার মোশতাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, মাহবুব আলম চাষী, মেজর রশীদ, মেজর ফারুক, মেজর শাহরিয়ার খন্দকার মোশতাকের বাসায় চলে যান।’ সেখানে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ বলেছিলেন, ‘আমি যখনই কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে ব্যবস্থা নিয়েছি, তখন ওইসব অফিসার জেনারেল জিয়ার কাছে শেল্টার নিয়েছে।’

৩২ নম্বরের বাড়িতে সেই রাতে আক্রমণের পরে বঙ্গবন্ধু যোগাযোগ করেছিলেন সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহর সঙ্গে। তিনি জবানবন্দিতে আদালতে বলেন, ‘আমি যখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কথা বলি, তিনি আমার গলার আওয়াজ শুনে বলে উঠলেন, ‘সফিউল্লাহ! তোমার ফোর্স আমার বাড়ি অ্যাটাক করেছে। কামালকে বোধহয় মেরে ফেলেছে। তুমি জলদি ফোর্স পাঠাও।’ প্রতি উত্তরে আমি বলেছিলাম, ‘আই অ্যাম ডুয়িং সামথিং। ক্যান ইউ গেট আউট অব দ্য হাউস? আমি যখন জিয়া ও খালেদ মোশাররফকে ফোন করি, তখন তাদের তাড়াতাড়ি আমার বাসায় আসতে বলি। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে তারা আমার বাসায় এসে পড়ে। জিয়া ইউনিফরমড ও শেভড। খালেদ মোশাররফ নাইট ড্রেসে নিজের গাড়িতে আসে।’

ঘাতক লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদের স্ত্রী জোবায়দা রশীদ জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘‘একদিন রাতে মেজর ফারুক (আরেক ঘাতক) জিয়ার বাসা থেকে ফিরে আমার স্বামীকে জানায় যে সরকার পরিবর্তন হলে জিয়া প্রেসিডেন্ট হতে চান। জিয়া নাকি বলেন, ‘ইফ ইট ইজ এ সাকসেস দেন কাম টু মি। ইফ ইট ইজ অ্যা ফেইলর, দেন ডু নট ইনভলব মি। শেখ মুজিবকে জীবিত রেখে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।’ এর কদিন পর মেজর ফারুক আমার বাসায় এসে রশীদকে বলে যে জিয়া বলেছে, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খুঁজতে হবে যে দায়িত্ব নিতে পারবে।’ সে মোতাবেক রশীদ খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে।’’

১৯৭৬ সালের আগস্টে লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশীদ ইংল্যান্ডের আইটিভি টেলিভিশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখানে তারা বলেছিলেন—জিয়া কতটুকু যুক্ত ছিল। তারা জানিয়েছিলে যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনাকালে সে সময়ের উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়ে, তারা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করলে, জিয়া তাদের এগিয়ে যেতে বলেন এবং তাদের উৎসাহিত করে বলেন, তারা সফল হলে জিয়া তাদের সঙ্গেই থাকবেন।

জিয়াউর রহমান শুরুতেই ক্ষমতা না নিয়ে খন্দকার মোশতাককে ঠেলে দিলেন কেন, প্রশ্নে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘জিয়া সবসময়ই খন্দকার মোশতাককে মহাভারতের শিখণ্ডী চরিত্রের মতো ব্যবহার করেছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই ক্ষমতা নিলে তাকে হত্যার দায় নিতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়াটা কেমন হবে, সেটাও আন্দাজ করতে না পারায়, খন্দকার মোশতাককে সামনে নিয়ে এসে পেছন থেকে কাজ করাটাই তার ঠিক মনে হয়েছিল। আবার মোশতাককে সামনে রাখলে আসলে কী ঘটেছে—বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মধ্যেও কনফিউশন তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সুযোগটা নিতে হলে জিয়ার সামনে একজন লোভী সিভিলিয়ান দরকার পড়ে। সে জন্যই মোশতাককে বসিয়ে যা যা কার্যসিদ্ধি করা দরকার এবং তা করানোর পরে খালেদ মোশাররফকে দিয়ে তাকে (মোশতাক) সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে খালেদকেও সরে যেতে হয়।’

লেখাটি বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত
লিংক-https://www.banglatribune.com/national/810822/ক্ষমতা-দখলে-জিয়াউর-রহমান-‘লোভী’-সিভিলিয়ান-খুঁজে


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওয়েব সিরিজ ‘ক্যাম্পাস রিটার্নস’

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে ভারতীয় সেনা হত্যার ভিডিও

প্রয়োজনমত খাবার পাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও

শামুকের দৌড় প্রতিযোগিতা, বিজয়ী পেলো লেটুস পাতা

এডিবির ৪০০ মিলিয়ন কোটি ডলারও যুক্ত হয়েছে রিজার্ভে

বৈশ্বিক সংকটেও বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় পোশাক রফতানি

পুষ্টিকর অ্যাভোকাডোর বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে তৃতীয় লিঙ্গের ইউপি চেয়ারম্যান ঋতুর গল্প 

মালদ্বীপের আদলে সাজছে সেন্টমার্টিন, ঢল নামবে দেশি-বিদেশি পর্যটকের

সাজাপ্রাপ্ত শিবির ক্যাডার গ্রেফতার ১৮ বছর পর