1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশের ক্রিকেটে নতুন সাকিব-তামিম!

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩

কদিন আগে শ্রীলঙ্কায় ইমার্জিং এশিয়া কাপে হতাশই করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সৌম্য-নাঈমের মতো পরিচিত মুখদের ব্যর্থতার ভিড়ে যা একটু আশার আলো ছড়িয়েছেন সাকিব-তামিম।

সাকিব-তামিম! ‘আসল’ সাকিব-তামিম ইমার্জিং এশিয়া কাপ খেলেননি, খেলার কথাও নয়। খেলেছেন আসলে জুনিয়র সাকিব-তামিম। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেরিয়ে এরই মধ্যে দুজনই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধীরে ধীরে পরিচিত নাম হয়ে উঠছেন। একজনের পুরো নাম তানজীম হাসান সাকিব, আরেকজন তানজীদ হাসান তামিম।

তাঁরা দুজনই ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে জুনিয়র তামিমকে তো সিনিয়র তামিমের কার্বন কপি বলা যায়। সিনিয়রের মতো তিনিও বাঁহাতি ওপেনার। জুনিয়র তামিম সিনিয়র তামিমকে আদর্শ মেনেই হাঁটছেন। সবাই তাঁকেও ‘তামিম’ বলেই ডাকে। নামটা তাঁর বাবা-মায়ের দেওয়া। তবে সেটা তামিম ইকবালের নাম দেখে নয়। ২৩ বছর আগে বগুড়ায় জুনিয়র তামিমের যখন জন্ম, তখনো সিনিয়র তামিমকেও মানুষ চিনত না। তবে ছোটবেলা থেকে সিনিয়র তামিমের ব্যাটিং দেখেই ‘তামিম ইকবাল’ হওয়ার স্বপ্নের বীজ বুনেছেন তানজীদ।

এদিক থেকে সিনিয়র সাকিবের সঙ্গে খুব একটা মিল নেই জুনিয়র সাকিবের। একজন বাঁহাতি অলরাউন্ডার, আরেকজন নিখাদ পেসার। যা একটু মিল—দুজনই মাঠে আক্রমণাত্মক থাকতে পছন্দ করেন। গত সপ্তাহে সাকিব সহাস্যে বললেন, ‘এটা আমার সহজাত। আমি নিজেও বুঝি না মাঠের মধ্যে গেলে কীভাবে আমি আক্রমণাত্মক হয়ে যাই।’

দল সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও সর্বশেষ ইমার্জিং এশিয়া কাপ মন্দ যায়নি সাকিবের। ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন। দলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনিই। ইমার্জিং এশিয়া কাপে নিজের বোলিং নিয়ে সাকিব বলছিলেন, ‘গত বিপিএলের পরই মূলত আমি অনুধাবন করি, উইকেটের জন্য বল করব না। ইকোনমিক্যাল বোলিং করার চেষ্টা করব। আক্রমণে এলে যত কম রান দিতে পারি। এটা আমার পরিকল্পনা ছিল। উইকেট নেওয়া বা নিতেই হবে—এই মানসিকতা ছিল না। আমি শুধু নিজেকে বলেছি, ভালো বোলিং করে যাব। আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি।’

২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর চোটে এক বছর খেলার বাইরে ছিলেন সাকিব। ছন্দ ফিরে পেতে একটু বেশিই সময় লেগে গেছে তাঁর। সাকিবের অতৃপ্তি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে না পারায়। সাকিবের মতো দল ও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অতৃপ্তি আছে তামিমেরও। কদিন আগে বলছিলেন, ‘আরেকটু ভালো করার জায়গা ছিল। সেট হয়ে আউট হয়ে গেছি, এখানে আরেকটু উন্নতি করা দরকার।’ ৪ ম্যাচে তাঁর ১৭৯ রান, স্ট্রাইক রেট ১১৬.৯৯। তিনিও টুর্নামেন্টে দলের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। তবে তাঁর আফসোস ইনিংসগুলো বড় করতে পারেননি। তামিম বললেন, ‘যে ভুলগুলো হচ্ছে, কোচের সঙ্গে কথা বলে সেখানে উন্নতি করার চেষ্টা করছি। ৫০-৬০ রানের ইনিংস আরও বড় করা যায় কীভাবে, কোচের সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

দুজনের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ শরীফুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয় জাতীয় দলে জায়গা পোক্ত করতে শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে এ নিয়ে আলাদা ভালো লাগা কাজ করলেও এ নিয়ে এখনই এত চিন্তিত নন। দুজনই বিষয়টি সময়ের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন। আসলেই, নামে মিল থাকলেও কাজে তাঁরা দুজন কতটা সিনিয়র সাকিব-তামিমের উত্তরসূরি হতে পারবেন, সময় বলে দেবে। তাঁরা যদি সত্যি জাতীয় দলে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট সুযোগ পাবে আরও অনেক দিন ‘সাকিব-তামিমে’ আচ্ছন্ন থাকার।


সর্বশেষ - রাজনীতি