এক মাসের মাথায় আবারও বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক থেকে ৫৯৯ বোতল ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ আটক করেছেন কাস্টমস সদস্যরা। রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তারা গোপন সংবাদে আমদানি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক থেকে এ মাদকদ্রব্যের চালান উদ্ধার করে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট লাইফ ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ আগস্ট মাইক্রোসেল পিটি নামে একটি পণ্য আমদানি করে। যার আমদানি মূল্য ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। পণ্য চালানটির রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের এসএস ব্লুকেম ইন্ডাস্ট্রি। দুপুরে গোপন খবর আসে ভারতীয় এ পণ্যবাহী ট্রাকটিতে ( ট্রাক নং: ডব্লিউ বি ৪১ই ০৯১৮) বিপুল পরিমাণে মাদক আনা হয়েছে।
পরে কাস্টমস অভিযান চালিয়ে ট্রাকটি বন্দর থেকে কাস্টম হাউসে এনে বিভিন্ন সংস্থার সামনে তেরপল খুললে ৫৯৯ বোতল ফেনসিডিল এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খুঁজে পায়। সেঁজুতি এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পণ্য চালানটি খালাসের আগেই কাস্টমসের জালে ধরা পড়ে যায় মাদকের চালান। ট্রাকের চালক, আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে থানায় ফৌজদারি মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সচেতন নাগরিকরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরে একের পর এক আমদানি পণ্যের সঙ্গে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকের চালান আসছে। কী লাভ বন্দরে শত শত সিসি ক্যামেরা আর স্ক্যানিং মেশিন বসিয়ে? ফেনসিডিল ঢুকিয়ে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত একটি মহলের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা আর বন্দর, কাস্টমসের দুর্বল নিরাপত্তায় আজ এ পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
