প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুব অধিকার পরিষদে নুরু ও আম বিক্রেতা ম্যাঙ্গো তারেক সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত হয়েছেন মহানগর সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন বন্ধন। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ফখরুল ইসলাম, ইয়াসিন রুবেল, ইসমাইল হোসেন বন্ধন, শায়লা শারমিন জেনী. আবদুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম হীরন ও আহমেদ রুবেলকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মহানগর সদস্য সচিব ইসমাইল বন্ধনকে অফিসে থাকা অবস্থায় হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তার মাথায় ৬-৭টি সেলাই লেগেছে।
সংঘর্ষের একটি ভিডিওতে দেখা যায় যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুর মামুন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলে তাকে মারতেও উদ্যত হয় তারেক এর অনুসারী জাহাঙ্গীর আলম হীরনসহ অন্যরা৷
অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির গঠন নিয়ে নুরের সঙ্গে মামুন, রাশেদ, ফারুক, ও তারেকের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের মূল প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দাবী করে আসছে হাসান আল মামুন ও আম বিক্রেতা তারেক রহমান। মামুনের ধর্ষণের ঘটনা সমাধান না করে সামনে আনার পেছনে নুরুর সায় ছিল বলে জানা যায়। মামুনের পর রাশেদ, ফারুক ও তারেককে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেয়ার নানা প্রচেষ্টা চালায় নুরু। কিন্তু সংগঠনের মূল নেতা হিসেবে নিজেকে জাহির করে দেয়া বক্তব্য ও লেখা নিয়ে নুরু ও তারেকের কোন্দল অনেকটা প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। যুব অধিকার পরিষদে তারেককে মূল নেতৃত্বে না এনে আতাকে আহবায়ক নির্বাচিত করতেও ভূমিকা রাখে নুরু। এছাড়া প্রবাসী অধিকার পরিষদে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেও তারেককে কোণঠাসা করে রাখা হয়। এ নিয়ে তারেকের স্ত্রী ও “হাতি আপু” খ্যাত তামান্না ফেরদৌস শিখার কথোপকথন ও ফেসবুক ম্যাসেজ প্রকাশ হয়েছিল।
জানা গেছে, এতদিন নুরুর একগুয়েমি নিয়ে চুপ থাকলেও তারেক নিজে আলাদা সিন্ডিকেট করেছে এবং সেই সিন্ডিকেট নিয়ে সে আলাদা দল করবে বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়ে তারেকের অনুসারীরা বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তারেকের বিরুদ্ধে ৩৪০ জন প্রবাসীর কাছ হতে বিভিন্ন সময় আর্থিক কেলেংকারীতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু নুরুর অর্থ কেলেংকারীর বহু তথ্য জানার কারণে তারেকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এছাড়া তামান্না ফেরদৌস শিখাও বিভিন্নভাবে নুরুকে ব্লাকমেইলিং করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব নিয়েই অধিকার পরিষদের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এদিকে নুরুর সংগঠন কেন্দ্রিক একের পর এক সংঘর্ষ, অপকর্ম ফাঁস ও বিভিন্ন কেলেংকারী নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। সচেতন মহলের মতে যিনি ক্ষুদ্র একটি সংগঠনের সদস্যদের মাঝে নিয়ন্ত্রণ ও আনুগত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না তার দেশ নিয়ে কথা বলা অনুচিত।