বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক, আইনজ্ঞ, সাংবাদিকসহ সমাজের যে সকল ব্যক্তি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় যুক্ত, তাদেরকে জাতির পিতার হত্যাকান্ড, এর ষড়যন্ত্র এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান ও গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো গবেষণাপত্র প্রণয়ন প্রতিযোগিতার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গবেষণাপত্র প্রণয়ন প্রতিযোগিতা ২০২১ এর কাৰ্যসূচী:
গ্রুপ ক:
বিষয়: সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকান্ড এবং এর বিচার রহিতকরণে জাতি ও রাষ্ট্রের ক্ষতি : আইনি, সাংবিধানিক, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যায়ন
প্রতিযোগী: দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আইনের ছাত্র-ছাত্রী।
গবেষণা পত্রের আকার: ৭০০০ শব্দ (সর্বোচ্চ)
গ্রুপ খ:
বিষয়: জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগীদের তথ্যানুসন্ধান: ঐতিহাসিক দলিলাদির আলোকে বিশ্লেষণ
গবেষণা পত্রের আকার: ১০০০০ শব্দ (সর্বোচ্চ)
প্রতিযোগী: শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশাজীবী
গবেষণাপত্রের রেফারেন্সিং স্টাইল: অক্সফোর্ড
গবেষণাপত্রের ভাষা: বাংলা অথবা ইংরেজি
গবেষণাপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ: ৩১ আগস্ট ২০২১
গবেষণাপত্র মূল্যায়নে গঠিত বিচারক মন্ডলী:
১۔ বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী, সাবেক বিচারক, আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
২۔ ড. মিজানুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
৩۔ জনাব অজয় দাশ গুপ্ত, সিনিয়র সাংবাদিক
৪۔ ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
৫۔ ড. আশফাক হোসেন, অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিটি গ্রুপের সেরা পাঁচটি গবেষণা পত্রের রচয়িতার জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে l
গবেষণাপত্র পাঠানোর ঠিকানা:
তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,
মাননীয় সভাপতির কার্যালয় (নতুন বিল্ডিং)
বাড়ি-৫৩, রোড -৩/এ, ধানমন্ডি,
ঢাকা- ১২০৯
ই-মেইলে অবশ্যই গবেষণাপত্রের সফট কপি পাঠাতে হবে।
ই-মেইল: Isrcalbd@gmail.com
বিজ্ঞপ্তির শুরুতে জানানো হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকান্ড বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য অসীম ও অপূরণীয় ক্ষতি। এই হত্যাকান্ড জাতির জন্য এক দুঃস্বপ্নের মতো ঘটনা। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ভণ্ডুল করার জন্যই পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ছিল দেশী-বিদেশি একটি চক্র। এই চক্রটি এবং এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগীরা বহু বছর জাতির পিতার হত্যার বিচার করতে দেয়নি। তারা অবৈধ আইন ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে বহু বছর ধরে জাতির পিতার হত্যার বিচার রুদ্ধ করে রেখেছিলো। এমনকি জাতির পিতার নামটিও তারা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ করেছিল।
জাতির পিতার হত্যার ষড়যন্ত্রকারী কারা, এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী কারা, এই হত্যাকাণ্ডে বাঙালী জাতি ও রাষ্ট্রের কী ক্ষতি হয়েছে, বিচার রহিতকরণে রাষ্ট্র ও মানবতার কী ক্ষতি হয়েছে – এই সকল বিষয়ে জাতির স্বার্থে এবং ইতিহাসের দাবীর আলোকে আইনি, সাংবিধানিক, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অধিকতর তথ্যানুসন্ধান এবং গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।