বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কি কারো ব্লাকমেইলের শিকার। তাঁকে কি কেউ ব্যবহার করছে? তিনি যা বলছেন, যা করছেন, তা কি কারও নির্দেশিত পথে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে গোয়েন্দারা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। শুধু যুদ্ধাপরাধী নয়, বিএনপির শীর্ষ মহলের সঙ্গেও বিচারপতি সিন্হার যোগাযোগ ছিল।
২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বিচারপতি সিন্হা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ছিলেন আইন ও বিচারমন্ত্রী। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ২০০৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেছিলেন। খুনের মামলায় দণ্ডিত একজন আসামিকে নজিরবিহীনভাবে জামিন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পরে বিচারপতি সিন্হা আইমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সে যাত্রায় রক্ষা পান।
বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান অন্তত দুবার ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে তাঁকে ভৎর্সনা করেছিলেন এবং তাঁর বেঞ্চ বদল করেছিলেন। পরে ড. কামাল হোসেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিচারপতি সিন্হাকে বাঁচান। এই সব অভিযোগ কি ছিল? এসব নিয়ে কি কেউ প্রধান বিচারপতিকে ব্লাকমেইল করে? এ প্রশ্নটা এখন আদালত পাড়ায় শুধু না, রাজনৈতিক পাড়াতেও আলোচিত। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তাঁর বাড়ি সংক্রান্ত মামলার পর বলেছিলেন, ‘আমি তাঁকে (প্রধান বিচারপতিকে) পাগল বানিয়ে দিতে পারি। আমার কাছে সব তথ্য আছে।’ কী সেই তথ্য? এমনকি সাবেক বেশ কজন প্রধান বিচারপতিরও ভাষ্য, বিচারপতি সিন্হার অতীতই তাঁর বর্তমানকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এ জন্যই তিনি তাই করছে, যা তাঁকে দিয়ে করানো হচ্ছে। বিচারপতি সিন্হা এমনই অসহায় যে তিনি কাউকে তাঁর সমস্যার কথা বলতে পারছেন না।
বাংলা ইনসাইডার