প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী বলেছেন, শান্তিচুক্তি পূর্ববর্তী সরকারগুলোর অপরিনামদর্শী পদক্ষেপের ফলে ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে, তাই পাহাড়বাসীকে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট নানা দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘পার্বত্য অঞ্চলের এ ভূমিধস : কারণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, শান্তি চুক্তির শর্তমোতাবেক অধিকাংশ সরকারী বিভাগ সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যাস্ত করা হয়েছে। যার ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসময় তিনি পার্বত্য অঞ্চলের ভূমিধস রোধে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার ও বেগম ফিরোজা বেমন চিনু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: কামাল উদ্দিন তালুকদার।
বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিধ্বসের কারণ ও প্রতিকার বিষয়ক এ সেমিনারের সার সংক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে। এ এলাকায় টেকসই উন্নয়নে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা পাহাড় ধ্বসের কারণ হিসেবে পাহাড় কাটা, বৃক্ষনিধন, অপরিকল্পিত আবাসন ও রাস্তার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত জুম চাষ, অতিবৃষ্টি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে চিহ্নিত করেন। তারা বলেন, এই ভূমিধসের প্রতিকার ও করণীয় হিসেবে আগাম সতর্ক সংকেত, পাহাড় উপযোগী গৃহ নির্মাণ নীতিমালা প্রণয়ন, পর্যাপ্ত আশ্রায়ন ব্যবস্থা, ভূমি ব্যবহার নীতিমালা সর্বোপরি সর্বস্তরের মানুষকে এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল ইসলাম, সমন্বিত পর্বত উন্নয়নের আন্তর্জাতিক সংস্থা (ইসিমোড) এর ভূ-তত্ত্ববিদ প্রফেসর সামজাল রত্না বজরাচারিয়া এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল পরিমল বিকাশ চাকমা।