ইবার্তা ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসন যদি অবৈধ হয়ে থাকে,তা হলে আওয়ামী লীগও অবৈধ। শনিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের কঠোর সমালোচনা করে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণের মূল বিষয় থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে ফেরানোর কৌশল নিয়েছে। মূল বিষয়টা থেকে জনমতকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সহজাত কৌশল। সরকারের পায়ের নিচের মাটি নেই। জনগণের আর আস্থা নেই। এজন্যই ক্ষমতাসীনরা উল্টোপাল্টা কথা বলে অন্য দিকে নিযে যেতে চাইছে।
তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগের যে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দেশে আবারো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই সংলাপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই বলে দিয়েছেন। এই সংলাপে তাদের কথা শুনব। আমরা কোনো সংলাপ করছি না। সুতরাং এটাকে সংলাপ বলাই যাবে না, উনি শুনবেন। তারপরেই উনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ শুধু সরকার যা চাইবে, তা নিশ্চিত করা নয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সমস্ত দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। এটা শুধু বিএনপির কথা নয়,দেশের বিভিন্ন সুধীজন,বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক দলগুলো বলছেন নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে।
সারাদেশে ত্রাণ অপ্রতুল অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বন্যায় দূর্গত পাশেই দাঁড়াতে আমরাই প্রথম কাজ করছি। কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির মাধ্যমে আমাদের সামর্থ অনুযায়ী দূর্গতদের পাশে যাচ্ছি। সরকার কাজ না করে শুধু মুখের জোরে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সরোয়ার, ইয়াসিন আলী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান প্রমুখ।