ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম: প্রায় বিশ বছর পর সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত রাবেয়া সুলতানা রুবি ভিডিও বার্তায় সাহায্য ও সহযোগিতার কথা বললেও জবাব সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন না। তার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন অনেক প্রবাসী সাংবাদিক। কয়েকজন সাংবাদিক রুবির ফেসবুকে সাক্ষাত চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন কিন্তু উত্তর দেননি তিনি। রুবি আলোচিত হতে নাকি কোনো কিছু আদায়ের জন্য এ ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
রুবি বলেন, আমি এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) পালিয়ে আসছি। আমাকে খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করেন। আমি কী করব জানি না, এতটুকু জানি, সালমান শাহ (ইমন) আত্মহত্যা করে নাই।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়ার বাংলাদেশি কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত কমিউনিটি নেতা কাজী মতিউর রহমান, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ জাফর রাবেয়া সুলতানা রুবি নামের কাউকে চিনেন না বলে জানিয়েছেন। এমন কি কোথাও দেখেননি, তবে তিনি তার ভিডিওবার্তা ও খবরটি ফেসবুক ও টিভিতে দেখেছেন। তবে প্রবাসী সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম তাকে দেখে চিনেছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি রুবি তার ফেসবুকে দেয়া ভিডিও বার্তায় বলেছেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন এবং তা রুবির স্বামী ও ভাইকে দিয়ে করিয়েছিলেন সালমানের স্ত্রী সামিরা হকের পরিবার।
রুবি বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ। আমার স্বামীর নাম চ্যাংলিং চ্যাং, যিনি বাংলাদেশে জন চ্যাং নামে পরিচিত ছিলেন। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে সাংহাই রেস্টুরেন্ট নামে তার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ ছিল।
হত্যাকাণ্ডের পর তার ভাই রুমিকেও খুন করা হয়েছে দাবি করে রুবি বলেন, ‘ইমনরে (সালমান শাহ’র প্রকৃত নাম) সামিরা, আমার হাজব্যান্ড ও সামিরার ফ্যামিলি সবাই মিলে খুন করছে। ইমনরে আমার ভাই রুমিরে দিয়ে খুন করানো হইছে। রুমিরেও খুন করা হইছে। আমি জানি না, আমার ভাইয়ের কবর কোথায় আছে। রুমির লাশ যদি কবর থেকে তুলে পোস্টমর্টেম করে, তাহলে দেখা যাবে রুমিরে গলা টিপে মেরে ফেলা হইছে।’
পুত্রবধূ সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ যে ১১ জনকে ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আদালতে আবেদন করেন নীলা চৌধুরী, অভিযুক্তদের একজন সালমান শাহ’র বিউটিশিয়ান রুবি।রুবি ছাড়াও অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম।
ঘটনার পর দীর্ঘ সময়ে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হলেও সালমানের পরিবার বারবারই নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয় আদালত।
রুবির বক্তব্যের বিষয়ে সামিরার বাবা শফিকুল হক বলেন, রুবি যে অভিযোগ করেছেন, তা ঠিক নয়। আর এতদিন পর রুবি কেন কথা বলছেন, তাও বোধগম্য নয়। সালমান শাহ’র মৃত্যুর পর বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করেছে, সে সময় তিনি কেন তাদের কাছে এই বর্ণনা দেননি।
সালমান শাহ’র মৃত্যুর দুই বছর পর সামিরা পুনরায় বিয়ে সম্পর্কে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ভালো পরিবারে বিয়ে হয়েছে আমার মেয়ের। সে রকম কিছু হলে কি কোনো ভালো পরিবার আমার মেয়েকে তাদের ঘরে নিত?’
সালমান শাহ’র মৃত্যু তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
এদিকে, পিবিআই কর্মকর্তা আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে তারা যে ‘ডকেট’ পেয়েছেন সেখানে প্রয়োজনীয় অনেক আলামত পাননি তারা। সালমান শাহ’র মরদেহের কোনো ছবি না পাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করলেও ডকেটে মাত্র চারজনের সাক্ষীর কাগজপত্র আমরা পেয়েছি। আরও সাক্ষীর সাক্ষ্য থাকার কথা ছিল। একটি অপমৃত্যুর মামলা এতদিন ধরে তদন্ত করার নজির নেই। অনেক আলামত নষ্ট হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর অধিকাংশই দেশের বাইরে চলে গেছেন বা তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব পেয়ে ইতোমধ্যে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের।
তদন্তে নতুন কিছু মেলার আশা প্রকাশ করলেও এজন্য সময় চেয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তা আজাদ। বিরুদ্ধে।
ভিডিও বার্তা দিয়ে যোগাযোগে সাড়া না দেয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এত বছর পর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কোনো বেগ পাবে না এমন ধারণা থেকে রাবেয়া সুলতানা ওরফে রুবি সুলতানা নিজেকে আলোচনায় আনতে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন কিনা এমন সন্দেহ অনেকের ! অভিযুক্ত আসামীদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা আদায় করতে চাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছে!
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়ার বাংলাদেশি কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত কমিউনিটি নেতা কাজী মতিউর রহমান, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ জাফর রাবেয়া সুলতানা রুবি নামের কাউকে চিনেন না বলে জানিয়েছেন। এমন কি কোথাও দেখেননি, তবে তিনি তার ভিডিওবার্তা ও খবরটি ফেসবুক ও টিভিতে দেখেছেন। তবে প্রবাসী সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম তাকে দেখে চিনেছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি রুবি তার ফেসবুকে দেয়া ভিডিও বার্তায় বলেছেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন এবং তা রুবির স্বামী ও ভাইকে দিয়ে করিয়েছিলেন সালমানের স্ত্রী সামিরা হকের পরিবার।
রুবি বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ। আমার স্বামীর নাম চ্যাংলিং চ্যাং, যিনি বাংলাদেশে জন চ্যাং নামে পরিচিত ছিলেন। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে সাংহাই রেস্টুরেন্ট নামে তার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ ছিল।
হত্যাকাণ্ডের পর তার ভাই রুমিকেও খুন করা হয়েছে দাবি করে রুবি বলেন, ‘ইমনরে (সালমান শাহ’র প্রকৃত নাম) সামিরা, আমার হাজব্যান্ড ও সামিরার ফ্যামিলি সবাই মিলে খুন করছে। ইমনরে আমার ভাই রুমিরে দিয়ে খুন করানো হইছে। রুমিরেও খুন করা হইছে। আমি জানি না, আমার ভাইয়ের কবর কোথায় আছে। রুমির লাশ যদি কবর থেকে তুলে পোস্টমর্টেম করে, তাহলে দেখা যাবে রুমিরে গলা টিপে মেরে ফেলা হইছে।’
পুত্রবধূ সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ যে ১১ জনকে ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আদালতে আবেদন করেন নীলা চৌধুরী, অভিযুক্তদের একজন সালমান শাহ’র বিউটিশিয়ান রুবি।রুবি ছাড়াও অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম।
ঘটনার পর দীর্ঘ সময়ে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হলেও সালমানের পরিবার বারবারই নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয় আদালত।
রুবির বক্তব্যের বিষয়ে সামিরার বাবা শফিকুল হক বলেন, রুবি যে অভিযোগ করেছেন, তা ঠিক নয়। আর এতদিন পর রুবি কেন কথা বলছেন, তাও বোধগম্য নয়। সালমান শাহ’র মৃত্যুর পর বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করেছে, সে সময় তিনি কেন তাদের কাছে এই বর্ণনা দেননি।
সালমান শাহ’র মৃত্যুর দুই বছর পর সামিরা পুনরায় বিয়ে সম্পর্কে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ভালো পরিবারে বিয়ে হয়েছে আমার মেয়ের। সে রকম কিছু হলে কি কোনো ভালো পরিবার আমার মেয়েকে তাদের ঘরে নিত?’
সালমান শাহ’র মৃত্যু তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
এদিকে, পিবিআই কর্মকর্তা আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে তারা যে ‘ডকেট’ পেয়েছেন সেখানে প্রয়োজনীয় অনেক আলামত পাননি তারা। সালমান শাহ’র মরদেহের কোনো ছবি না পাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করলেও ডকেটে মাত্র চারজনের সাক্ষীর কাগজপত্র আমরা পেয়েছি। আরও সাক্ষীর সাক্ষ্য থাকার কথা ছিল। একটি অপমৃত্যুর মামলা এতদিন ধরে তদন্ত করার নজির নেই। অনেক আলামত নষ্ট হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর অধিকাংশই দেশের বাইরে চলে গেছেন বা তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব পেয়ে ইতোমধ্যে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের।
তদন্তে নতুন কিছু মেলার আশা প্রকাশ করলেও এজন্য সময় চেয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তা আজাদ। বিরুদ্ধে।
ভিডিও বার্তা দিয়ে যোগাযোগে সাড়া না দেয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এত বছর পর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কোনো বেগ পাবে না এমন ধারণা থেকে রাবেয়া সুলতানা ওরফে রুবি সুলতানা নিজেকে আলোচনায় আনতে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন কিনা এমন সন্দেহ অনেকের ! অভিযুক্ত আসামীদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা আদায় করতে চাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছে!