1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ডেঙ্গু ঠেকাতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাচ্ছে তিন সিটি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ঠেকাতে প্রধান তিন সিটি করপোরেশন বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে। বিশ্বব্যাংকও অর্থ দিতে রাজি। সংস্থাটির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এ সংক্রান্ত চুক্তি হতে যাচ্ছে আগামী ১ আগস্ট। গতকাল মঙ্গলবার ‘ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস’ নামের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং তারাবো ও সাভার পৌরসভায়।

গতকালের পিইসি সভায় অনুমোদিত প্রকল্পটি সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট অথবা সেপ্টেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষকের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) উত্থাপনের কথা রয়েছে। এর আগে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ইআরডির চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তবে একনেকে অনুমোদন পেলেও প্রকল্পের সুবিধা এ বছর পাচ্ছে না নগরের বাসিন্দারা।

সাধারণত যেকোনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে বেশ কয়েকটি সভার পর পিইসি সভা সেটি অনুমোদন দেয়। কিন্তু এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়ে প্রকল্পটি প্রথম পিইসি সভাতেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় জনবলের দিক ও অর্থছাড়ের দিকটি দেখবে।

প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) তথ্যে দেখা যায়, এ প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ ঋণ ১ হাজার ৭৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাকি ২১৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা অর্থায়ন করবে সরকার। বিশ্বব্যাংকের ১০ কোটি ডলারের এ প্রকল্প ঋণের সুদ হবে ১ শতাংশের কম। ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ এ ঋণ শোধ করতে হবে ৩৫ বছরে।

প্রকল্পটি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, প্রকল্পটি পাবলিক হেলথসংক্রান্ত। এটি বিশ্বব্যাংকেরই প্রস্তাবিত প্রকল্প। এর একটি পার্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হবে এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এটি মূলত ভেক্টর কন্ট্রোল ও মেডিকেল ডিসপোজালসংক্রান্ত প্রকল্প। ভেক্টর কন্ট্রোলের সঙ্গে ডেঙ্গুর একটি বিষয় জড়িত আছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট, কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এর জন্য অত্যাধুনিক ল্যাবও করা হবে। স্থায়ীভাবে এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে গবেষণাও হবে। গত দুই-তিন বছরে যেভাবে আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এটি নিয়ে তেমন কোনো গবেষণাও নেই, এটির কোনো ল্যাব ফ্যাসিলিটিও নেই।

প্রকল্পটি আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বরেও যদি একনেকে অনুমোদন পায়, এটির সুবিধা এ বছর পাচ্ছে না নগরের বাসিন্দারা। প্রকল্প অনুমোদনের পর এটির বাস্তবায়নও অনেক দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।

ডিপিপির তথ্যানুসারে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে এলজিডি একটি ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের পূর্বাভাস মডেল তৈরি করবে। এ মডেল তৈরি করা গেলে ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগের আগাম সতর্কবার্তাও দেওয়া যাবে। এজন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত। ভেক্টর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অফিস লিংক মশাবাহিত রোগ বাড়বে কি না, তা অনুমান করতে সাহায্য করতে পারে। এলজিডি আইভিএমইউর অধীনে সারা বছর ধরে মশা জরিপ চালাবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি