1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফেসবুকে কিডনি নষ্টের কথা বলে বিকাশে টাকা নিতেন নুরু 

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

কিডনী বিকল ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য দু’জনকেই বিদেশ পাঠাতে হবে এবং সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে—এই মর্মে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।

সোমবার ২৪ জুলাই চিকিৎক ও নুরের মেডিকেল বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্বে থাকা আমিনুল ইসলাম ফেসবুকে পোস্টে এমন তথ্য জানিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন।

আমিনুল ইসলাম লিখেন, নুরু তার নতুন অফিসের জন্য বিকাশে জনগণের কাছ থেকে টাকা চেয়েছে সেই পোস্ট দেখে মনে পড়ল।

আমিনুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেন- বিকাশ নুরু তার কয়েকজন সঙ্গীসহ কয়েক বছর আগে দুঃখজনকভাবে মার খেয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তো সেই ঘটনার পর তারা একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের যার পর নাই কেয়ার করে। চিকিৎসা খরচের ভার নিজ হাতে তুলে নেয় এবং সে জন্য একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। আমি ছিলাম সে মেডিকেল বোর্ডের অনেকটা সাচিবিক দায়িত্বে। অধ্যাপকরা যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতেন আমি সেটা লিখে কম্পাইল করে তার ফাইনাল রিফাইন্ড কপি ডিরেক্টরের কাছে হস্তান্তর করতাম। পরবর্তী মেডিকেল বোর্ড মিটিংয়ে আগের মিটিংয়ের সারাংশ পড়ে শুনাতাম, সেখানে কখনও কখনও নুরুদের প্রতিনিধিও থাকত, কখনও মেডিকেল বোর্ড শেষে প্রতিনিধিদের ডেকে ব্রিফ করা হতো।

নুরু কেবিনে শুয়ে বসে রাজাধিরাজের মতো ডাক্তার সিস্টার নার্স স্টাফ সবাইকে নানা হুকুম জারির মাধ্যমে ত্রস্ত রেখেছিল। তাকে কেন এতটা প্রশ্রয় ও লাই দেয়া হচ্ছে, কেন তার আচরণকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে না সেই প্রশ্নও উঠেছিল মেডিকেল বোর্ডের মিটিংয়ে।

শরীরে মাংসের ওপর আঘাত হলে কখনও কখনও কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের মধ্যে দু’জনের ক্রিয়েটিনিন কিছুটা বাড়তি দেখা গেল। সাথে সাথেই নেফ্রলজিস্টের সমন্বয়ে বোর্ড তাদের করণীয় ঠিক করল, প্রয়োজনের ডায়ালাইসিস করা হবে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হল। পরিচালক স্যার নির্দেশ দিলেন, সমস্ত খরচ যাতে হাসপাতাল থেকেই বহন করা হয়।

কিন্তু পরদিন ফেসবুকের একটি পোস্ট দেখে আমার চোখ ছানাবড়া। সেখানে লেখা হয়েছে একজনের দু’টি আরেকজনের একটি কিডনী বিকল হয়ে গিয়েছে। বোর্ড নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জরুরী ভিত্তিতে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য দু’জনকেই বিদেশ পাঠাতে হবে এবং সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে। সাথে বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দেয়া হয়েছে এবং একইসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে অনেক টাউট বাটপার কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের নাম করে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করবে। এই নম্বর ছাড়া অন্য কোনও নাম্বারে যাতে বিকাশ করা না হয়। আমি সেখানে প্রকৃত তথ্য জানিয়ে কমেন্ট করলে আমার উপর পঙ্গপালের মত আক্রমণ নেমে আসে। গালাগালি করে তা ডিলিট করে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, কোনরকম দুর্ঘটনা ছাড়া সবাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছিল এবং এজন্য চিকিৎসা বাবদ কারও কোন খরচ হয় নাই বললেই চলে।


সর্বশেষ - রাজনীতি