1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবহার

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩

দেশে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। করপোরেট থেকে শুরু করে অনলাইনভিত্তিক ক্ষুদ্র উদ্যোগ– সব ক্ষেত্রেই পণ্য ও সেবার প্রচারের সহজ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের প্রচার।  সম্প্রতি বিনোদন মাধ্যম দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও দেদার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। তবে তা চাহিদা বা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিনা তা নিয়ে কথা উঠতে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ঠিক সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না। গুরুত্ব না পেলে এ খাতটি ঠিকমতো বিকশিত হতে পারবে না।

দেশীয় ওটিটির মধ্যে রয়েছে চরকি, বায়োস্কোপ, টফি, বঙ্গ, সিনেম্যাটিক, বিঞ্জ, আই-স্ক্রিন, দীপ্ত প্লে, র‌্যাবিট হোল ইত্যাদি।

জার্মান পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট স্ট্যাটিস্টার মতে, বাংলাদেশের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার ২০২৩ সালে ৩৮২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। তবে দেশে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার  পরিসর বেড়ে চললেও এটি মূলত বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর নির্ভরশীল। দেশীয় বিজ্ঞাপনদাতারা প্রধানত গুগল ও ফেসবুকের ওপরই নির্ভর করেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) তথ্য অনুযায়ী ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবে বিজ্ঞাপন বাবদ বছরে দেশে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।

ফেসবুক, গুগল, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদির মতো বিদেশি অ্যাড প্ল্যাটফর্মগুলোর অফিস এ দেশে না থাকায় বিজ্ঞাপনদাতারা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন না।  শুধু বিজ্ঞাপনদাতারাই নন, সরকারও এসব প্ল্যাটফর্মকে নিয়ে জটিলতার মধ্যে রয়েছে। প্ল্যাটফর্মগুলো দেশের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে যথেষ্ট মুনাফা অর্জন করলেও এগুলো থেকে সরকার উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব পাচ্ছে না। এমন অবস্থায় সরকার অফিস নেই বা এ দেশে নিবন্ধন নেই কিন্তু সেবা দিচ্ছে এমন ডিজিটাল বহুজাতিক কোম্পানিগুলো থেকে বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর রিটার্ন নেওয়ার কথাও ভাবছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ওটিটির গাইডলাইন তৈরি সম্পন্ন হলে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ভালো কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস না হলে এ খাতটি টেকসই রূপ পাবে না।  কারণ কনটেন্ট ভালো হলে সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস এমনিতেই ভালো করবে।  এ খাতের টিকে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য বিজ্ঞাপন একটা ফ্যাক্টর।

তিনি বলেন, ইউটিউবে কোনও কিছু দেখতে গেলে বিজ্ঞাপন আসে প্রচুর। এই বিজ্ঞাপনের রেট কম। কিন্তু ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কোনও বিজ্ঞাপন থাকে না।  যেটা থাকে সেটা হলো স্পন্সর বিজ্ঞাপন। এটা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ভালো একটি দিক।

তিনি মনে করেন, শুধু ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের দিকে না তাকিয়ে থেকে প্রিমিয়াম কনটেন্ট তৈরি করলে দর্শক আকৃষ্ট হবেন। সাবস্ক্রাইব করলে বিনিয়োগের বড় একটা অংশ এখান থেকে উঠে আসে। তিনি জানান, এ খাতের বিজ্ঞাপন বাজার বড় হচ্ছে।  আগামীতে আরও বড় হবে।

উল্লেখ্য, গুগলে বা ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের রেট অনেক কম। সেই তুলনায় ওটিটিতে দেশীয় বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশিপের রেট অনেক বেশি।

এছাড়া বিজ্ঞাপনদাতারা যেকোনও বিষয় সম্পর্কে দেশীয় অ্যাড পাবলিশারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সমাধান পেতে পারেন। দেশীয় প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় এগুলোর কর সংক্রান্ত জটিলতাও থাকে না। তবে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করলে দেশের টাকা সরাসরি বিদেশে না গিয়ে থেকে যায় দেশেই।

ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজ পাবলিশার্সের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মধ্যে ডিসপ্লে অ্যাড ও ভিডিও অ্যাডের চাহিদা বেশি। বাজারে ডিসপ্লে অ্যাডের ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আর ভিডিও বিজ্ঞাপনের শেয়ার ৩৮ শতাংশ। ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন থেকে আসা আয়ের মাত্র ১৯ শতাংশ পেয়ে থাকে দেশীয় অ্যাড প্ল্যাটফর্মগুলো। তবে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে। এসব প্ল্যাটফর্মের প্রধান সুবিধা হলো বিজ্ঞাপনদাতারা এখানে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন। বিজ্ঞাপনদাতারা দেশীয় অ্যাড প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকলে গুগল, ফেসবুকের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোও ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবে বলে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

এই বিষয়ে ডিজিটাল বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম টফির ডেপুটি ডিরেক্টর (মার্কেটিং) মো. আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, বিদেশি অ্যাড প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেও দেশি প্ল্যাটফর্মগুলো ইতোমধ্যে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। এর মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজেদের একটি অবস্থানও তৈরি করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, টফি ইতোমধ্যে সবচেয়ে বড় দেশীয় ডিজিটাল বিজ্ঞাপন মাধ্যমে পরিণত হয়েছে এবং একমাত্র ইউজিসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয়ের সুযোগ দিচ্ছে। বিজ্ঞাপনদাতাদের সহযোগিতা ও অনুকূল সরকারি নীতিমালা পেলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারবো।

তিনি মনে করেন, বিজ্ঞাপনদাতারা ডিজিটাল অ্যাড প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে শুধু তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারই করছেন না, বরং একটি নতুন বাজার সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখছেন। এখানে দেশীয় অ্যাড প্ল্যাটফর্মগুলো কতটা সফল হবে তা অনেকাংশে তাদের ওপর নির্ভর করছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি