1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

খুলনায় পোষ মেনেছে বনের ‘খ্যাক’ শিয়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩

বাগানে কুড়িয়ে পাওয়া একটি শিয়াল বাড়িতে এনে লালন-পালন করে পোষ মানিয়েছেন খুলনার সঞ্জিত মন্ডল সরু। শিয়ালটির নাম দেয়া হয়েছে ‘খ্যাক’। এটির বয়স এখন প্রায় ৬ মাস।

সঞ্জিতের পরিবারের সঙ্গেই থাকছে শিয়ালটি। খাচ্ছে ভাত, খিচুড়ি, ডিম, দুধ ও মাংস। প্রতিদিন তাকে দেখতে আসেন আশপাশের লোকজন।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আমভিটা রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সঞ্জিত পেশায় কৃষক। সেই সঙ্গে পশুপ্রেমীও। তার বাড়িতে শুধু এই শিয়াল ছানাটিই নয়, আছে বিদেশি চারটি কুকুরও। সেগুলোও লালন-পালন করেন তিনি।

সঞ্জিত জানান, ৫ মাস আগে বৃষ্টির পর সকালে আমার ছোট ছেলে শাওন মন্ডল বাগানে শিয়াল ছানাটিকে কাদামাখা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি সেটি প্রায় মরা মরা অবস্থা। আমি মনে করেছিলাম, আর বাঁচবে না।

তিনি বলেন, সেখানে থেকে বাড়িতে এনে গোসল করিয়ে যত্ন নিয়েছি। সিরিঞ্জে দুধ ভরে মুখে দিয়ে খাইয়েছি। প্রায় ১৫/২০ দিন এভাবে দুধ-ডিম খাওয়ানোর চেষ্টা করি। এরপর ছানাটি মুখে খাওয়া শুরু করে। তখন থেকে দুই মাস ছানাটিকে ভাত, খিচুড়ি, ডিম, দুধ ও মাংস খাওয়ানো শুরু করি।

সঞ্জিত বলেন, দুই মাস রাখার পর স্থানীয় কয়েকজন বললেন; শিয়াল বাড়িতে রাখা ঠিক হবে না। যদি হাঁস-মুরগি খেয়ে ফেলে। আমি তাদের পরামর্শে ২ মাস আগে শিয়ালটিকে বাগানে রেখে আসি। কিন্তু রাতে দেখি সেটি বাড়িতে চলে এসেছে। এরপর আরও একবার আমি রেখে এসেছিলাম। আবারও ছানাটি চলে আসে।

তিনি বলেন, পরে বাড়ির লোকজন বললেন শিয়ালটি যেতে চাইছে না, পোষ মেনেছে। সেটি ৫ মাস আমাদের সঙ্গেই থাকছে। আমরা যা খাই, সেও তাই খাচ্ছে। তবে শাক-সবজি এখনও দেইনি। ভাত, খিচুড়ি, মাংস, ডিম ও দুধ দিচ্ছি। সন্তানের মতোই লালন-পালন করছি।

এই পশুপ্রেমী বলেন, কুড়িয়ে আনার পর একদিন ছেলে শাওন বলে বাবা এটির নাম কী? আমি বললাম ‘খ্যাক শিয়াল’। তখন ছেলে বললো তাহলে এটিকে ‘খ্যাক’ বলে ডাকবো আমরা। সেসময় থেকে শিয়ালটির নাম হলো খ্যাক। এ বলে ডাকলে সে বুঝতে পারে তাকে ডাকা হচ্ছে। ছেড়ে দিলে এদিক-ওদিক ছুটে আবার ফিরে আসে। এখন পর্যন্ত কোনো মানুষ বা কারও হাঁস-মুরগির ক্ষতি করেনি এই শিয়াল। অনেকেই একে দেখতে আসেন।

সঞ্জিতের স্ত্রী প্রিয়া মন্ডল বলেন, শিয়ালকে তিন বেলায় খেতে দিতে হয়। বর্তমানে সকালে খিচুড়ি ও ভাত, দুপুরে ভাত ও মাংস এবং রাতে খিচুড়ি দেই। এছাড়া ডিম-দুধও দেয়া হয়। দুপুরে গোসল করিয়ে পরিষ্কার করা হয়। পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি শিয়ালটি।

ওই গ্রামের বাসিন্দা কবিতা রানী ও দীপক গাইন বলেন, এখানে শিয়াল দেখতে এসেছি। সেটি দেখে অবাক হয়েছি। বনের পশু যে বাড়িতে মানুষের সঙ্গে লালন-পালন করা যায়, এমনটা আগে কখনও দেখিনি। দেখে খুব ভালো লাগছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি