1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিএসসির জন্য কেনা হচ্ছে ৪ জাহাজ

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জন্য দুটি ক্রড ওয়েল মাদার ট্যাংকার ও দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। চীন সরকারের ঋণ সহায়তায় ‘জি টু জি’ ভিত্তিতে এ চার জাহাজ কেনা হবে।

বুধবার (১২ জুলাই) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাব উপস্থান করা হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে এ ক্রয়ের প্রস্তাব আনা হচ্ছে। মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদ দিলে জাহাজ কেনার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

বিএসসির জন্য চার জাহাজ কেনার প্রস্তাবের পাশাপাশি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আরও একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থান করা হবে। এছাড়া প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি, সেতু বিভাগের একটি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের তিনটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের চারটি ক্রয় প্রস্তাব সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের একটি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব উপস্থান করা হবে। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা দুটি অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আর একটি ক্রয় প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) (প্রথম সংশোধিত’ শীর্ষ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বাস্তবায়নাধীন ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য আবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাবও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে ওঠার কথা রয়েছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে আন্তর্জাতিক কোটেশন (দরপত্র) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির ক্রয় প্রস্তাব নিয়ে আসছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। সেইসঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বাড়াতে (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’ এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কোটেশন সংগ্রহ করে স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে চারটি প্রস্তাবের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমাদানি ও ক্রয়ের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে কাতারের কাবার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিসটিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে দুই লটি ৬০ হাজার মেট্রিক টন এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউনিয়া সার কেনা হবে।

অপরদিকে, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন এমওপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব উপস্থান করা হতে পারে। এর মধ্যে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মধ্যে চুক্তির আওতায় দুই লটে ১ লাখ মেট্রিক টন এমওপি এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার একটি কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি কেনা হবে। আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা’আদেন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মধ্যে ‍চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে।

এদিকে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দ করা গৃহ হস্তান্তর কর্যক্রম উদ্বোধনের লক্ষ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধিতি অনুসরণ করে ক্রয় কাজ সম্পন্ন করার নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হবে।

সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়াতে (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন- ২০২১ এর আওতায় মালয়েশিয়ার প্রিন্টার্স কাল এসডিএন বিএইচডি কর্তৃক দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

এছাড়া পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৮ (১) ও পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬ (২) মোতাবেক জি টু জি ভিত্তিতে চাল ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৮৩ (১) (ক) প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক দরপতত্রের মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ার সময় হ্রাস করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

একই সঙ্গে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৮ (১) ও পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬ (২) মোতাবেক জি টু জি ভিত্তিতে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৮৩ (১) (ক) প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক দরপতত্রের মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ার সময় হ্রাস করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।


সর্বশেষ - রাজনীতি