1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দাম কমেছে আলুর

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজি সাড়ে ৩৪ টাকা থেকে কমে ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির ঈদের পর থেকে আলুর দাম একটু একটু বেড়ে আড়তেই কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গত দুদিনে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পর এবং চট্টগ্রামে ভোক্তা অধিকারের অভিযানের খবরে পাইকারিতে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। কিন্তু খুচরাতে এখনো বাড়তি দাম অর্থাৎ কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজার, খাতুনগঞ্জ, পাহাড়তলী, কাজীরহাট এবং চাক্তাই এলাকার আড়তে মুন্সীগঞ্জ জাতের এই আলু দুই ধরনের সাদা ও লাল। সাদা আলু বিক্রি হয়েছে গতকাল ৩০ থেকে ৩১ টাকা আর লাল আলুর দাম কেজিতে এক টাকা কম ৩০ টাকায়। অবশ্য নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তে ভালো মানের এবং আকারের লাল আলুই কেজিতে বিক্রি হয়েছে ২৯ টাকায়।

জানতে চাইলে রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার মেসার্স রব রব বাণিজ্যালয়ের মালিক সেলিম মিন্টু সওদাগর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কোরবানি ঈদের পর সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছিল।

এখন প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২শ টন আলু ঢোকছে রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে। দাম কমে সাদা আলু ৩০ টাকা এবং লাল আলু ২৮ টাকা ৫০ পয়সার বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি, দাম আর বাড়বে না, ৩০ টাকার মধ্যেই থাকবে দাম। কারণ আড়তে প্রচুর আলু পড়ে আছে।

সরকারের বিপণন অধিদপ্তর আলুর অযথা মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে কৃষি মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এই প্রতিবেদনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কৃত্রিমভাবে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারে আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা, যেটা সব খরচ মিলে খুচরা বাজারে ৩২ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কৃত্রিমভাবে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আলুর দাম বৃদ্ধি করছে, যা গত কয়েকদিন খুচরায় ৪৫-৫০ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর জন্য অবশ্য হিমাগার মালিকদেরও দায়ী করা হয়েছে।

কারণ হিমাগার মালিকরা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু বাজারে ছাড়ছে না।

বাজার যাচাই করতে মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকার দল চট্টগ্রাম আমানবাজার এলাকার আড়ত কাজীরহাটে অভিযান চালায়। সেখানে খুব বেশি অসঙ্গতি পায়নি দলটি। মাত্র দুটি আড়তে তালিকা না থাকায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, অভিযানে আমরা আড়তদারের কাছ থেকে রসিদ চেয়ে দেখেছি কেনামূল্য ছিল কেজি ২৯ থেকে ৩০ টাকার আর বিক্রি মূল্য ৩০ থেকে ৩১ টাকা। পরে আড়তের দাম দেখে খুচরায় বাজার যাচাই করতে বহদ্দারহাট যাই। সেখানে ছোট আলু বিক্রি হচ্ছিল কেজি ৩৫-৩৬ টাকায়। আর বাছাই করা বড় আলু বিক্রি হচ্ছিল ৩৮-৪০ টাকায়। ফলে জরিমানার আর প্রয়োজন পড়েনি।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৩৬৫টি হিমাগারে এ বছর প্রায় ২৫ লাখ টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। কৃষকের হাতে আলু শেষ হওয়ার পর জুন থেকে হিমাগারের আলু বাজারে সরবরাহ আসতে থাকে। কিন্তু এই সরবরাহ ঠিকভাবে হচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

জানা যায়, এ বছর আলুর উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ টন, যেখানে স্থানীয় চাহিদা ৮৯ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন। চাহিদার বিপরীতে ২১.৯৯ লাখ মেট্রিক টন আলু বেশি উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও গত প্রায় ১৫ দিন ধরে আলুর দাম বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি