1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শরীয়তপুরে লক্ষ্যমাত্রার বেশি পাট উৎপাদন

শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শরীয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক উন্নয়নে এসেছে নতুন মাত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জেলার কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের সহায়তায় সকল প্রকার কৃষি ফসল উৎপাদনে কৃষকরা নজিরবিহীন সাফল্য দেখিয়েছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি সোনালী আঁশখ্যাত পাট চাষেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। জুলাই মাসের শুরু থেকে পাটগাছ কেটে দেশীয় পদ্ধতিতে সোনালী আঁশ প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জাজিরাসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে কৃষাণীদের। আর আঁশ পানিতে পরিষ্কার করছেন কৃষকরা।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কৃষকরা পাট চাষ করেছেন ৩০ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে দেশীয় জাতের পাট চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৫০ হেক্টর, তোষা জাতের ২১ হাজার ৮০০ হেক্টর, কেনাফ জাতের ৩ হাজার ৯৮০ হেক্টর এবং মেশতা জাতের ১ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে।

পাটচাষি শাকিল ঢালী বলেন, পাট চাষ পরিশ্রমের কাজ। পাট কেটে পানিতে ভিজিয়ে আঁশ ছাড়িয়ে এখন পরিষ্কার করছি। শুকিয়ে বাজারে নিলে প্রতি মণ পাট ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব। মাঝে-মধ্যে কয়েকজন চাষির পাট একত্র করলে পাইকাররা বাড়ি থেকেই নিয়ে যায়। এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি, আমরা লাভবান হবো।

নড়িয়া উপজেলার কৃষক আবুল মনসুর বেপারি বলেন, ১০ বিঘা জমিতে দেশীয় জাতের পাট চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। নিজের পরিশ্রমের হিসেব করলে এই খরচ দাঁড়ায় ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে পাটের ফলন হয় ৮-১০ মণ। প্রতি মণ পাটের বর্তমান বাজার মূল্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। পাট চাষে এখন আর আগের মতো লোকসান হয় না।

সদর উপজেলার কৃষক হাসান ঢালী বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে পাটের ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে এখন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ মতো চলায় পাটে পোকামাকড় আক্রমণ করেছে কম। ফলে ফলন ভালো হয়েছে। পাইকাররা সরাসরি ঢাকা থেকে এসে পাট কিনছেন। ন্যায্য দাম পেলে লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। পাটের উপযোগী আবহাওয়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে এবার। পাট থেকে আঁশ প্রস্তুতের জন্য পানি থাকায় কৃষকরা সুন্দরভাবে পাটের আঁশ প্রক্রিয়াজাত করতে পারছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। আগামী দিনে কৃষকরা পাট চাষে আরও আগ্রহী হবেন বলে আশা করছি।


সর্বশেষ - রাজনীতি