1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানিতে বড় অগ্রগতি

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩

সদ্যঃসমাপ্ত জুন মাসে পণ্য রপ্তানিতে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি হয়েছে দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে। বৈশ্বিক মন্দার কারণে এমনিতেই পণ্যে ক্রয়াদেশ কম দিচ্ছিলেন বিদেশি ক্রেতারা। ফলে বেশ কয়েক মাস ধরেই রপ্তানির গতিও ধীর ছিল। মে মাস পর্যন্তও সেটি অব্যাহত ছিল।

এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও রপ্তানির গতি কম হচ্ছিল।

২০২৩ সালের মে মাসেও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৫০ হাজার একক রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার জাহাজে করে বিভিন্ন দেশে গেছে। প্রতি মাসে রপ্তানি কনটেইনার ৫০ থেকে ৫৬ হাজার এককের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু সর্বশেষ জুন মাসে সেটি এক লাফে বেড়ে ৭৫ হাজার ৪০০ এককে উন্নীত হয়।

অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় এই অগ্রগতি ৫০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে জাহাজে যত পণ্য আমদানি হয় তার হিসাব রাখে বিদেশি জাহাজের মেইন লাইন অপারেটররা (এমএলও)। সর্বশেষ জুন মাসে তাঁদের দেওয়া তথ্য বলছে, ৭৫ হাজার ৩৯১ একক কনটেইনার শুধু রপ্তানি পণ্য বোঝাই করেই চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে। তাঁদের হিসাবে রপ্তানির পরিমাণ মে মাসে ৫০ হাজার ২৭৭ একক, এপ্রিল মাসে ৫৫ হাজার ৯৪০ একক, মার্চ মাসে ৫৫ হাজার ১৬০ একক, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৬ হাজার ২২৪ একক আর জানুয়ারি মাসে ৬২ হাজার ৭২৭ একক ছিল।

জানতে চাইলে শিপিং লাইন ক্রাউন নেভিগেশন কম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহেদ সারোয়ার বলেন, ‘আগে থেকেই রপ্তানি কিছুটা বাড়ছিল। কিন্তু জুন মাসে রপ্তানি বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে কোরবানি ঈদের ছুটি। কারখানাগুলো এ সময় ১০ দিন পর্যন্ত ছুটি থাকে। ঈদের ছুটিতে অনটাইম শিপমেন্ট নিশ্চিত করতে আগেভাগে পণ্য তৈরি করে কনটেইনার ডিপো হয়ে বন্দরে পাঠান রপ্তানিকারকরা। এই কারণে আমরা নিজেদের জাহাজেও ফুল লোড করে জাহাজ পাঠিয়েছি।

এই ধারাবাহিকতা জুলাইয়ের এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। এর পর একটু কমবে।’

তিনি বলেন, ‘রপ্তানির নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি কিন্তু এখন নেই। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীন থেকে রপ্তানি কমছে, এর সুফল বাংলাদেশেও আসছে। ফলে আশা করছি আগামী দিনগুলোতে আমাদের রপ্তানির পরিমাণও বাড়বে।’

রপ্তানি কনটেইনারে কী পণ্য থাকে তার হিসাব রাখে না বন্দর কর্তৃপক্ষ ও এমএলও কম্পানিগুলো। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সেই হিসাব রাখে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে, শুধু জুন মাসেই বাংলাদেশ থেকে ৫০৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৯০ কোটি ডলার। সে হিসাবে ২০২৩ সালের জুনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৫১ শতাংশ।

ইপিবির হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছিল পাঁচ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ২০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৬৭ শতাংশ। এবার মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংশজুড়েই ছিল তৈরি পোশাক রপ্তানি। অর্থাৎ পোশাক রপ্তানির ওপর ভর করেই এই অগ্রগতি হয়েছে। আগের অর্থবছরে মোট রপ্তানির ৮১ শতাংশ ছিল তৈরি পোশাক।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হচ্ছে, জুন মাসে রপ্তানির এই উল্লম্ফনের প্রধান কারণ তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়া।


সর্বশেষ - রাজনীতি