1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অক্টোবরে মতিঝিল পর্যন্ত ছুটবে মেট্রোরেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

মেট্রোরেলের শতভাগ সুফল পেতে নগরবাসীর অপেক্ষা কবে রেল ছুটবে মতিঝিল পানে। অক্টোবর নাগাদ এ পথ উদ্বোধনের লক্ষ্যে এখন প্রতিরাতে ঝালিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিপোতে থাকা বগি, তৈরি হচ্ছে দক্ষ চালক। আর এর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে এ মাসেই।

সম্প্রতি তথ্যগুলো জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, চলতি মাসের মধ্যে শেষ হবে এ প্রান্তের প্রতিটি স্টেশনে প্রবেশ ও বাহিরের সব কাজ। তারপরেই শুরু হবে ট্রায়াল।
 
অক্টোবরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পথে ছুটবে ট্রেন – এ খবর এখন সবারই জানা। তবে এখনো এ লাইনে ওঠেনি ট্রেন। তাইতো স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে কথা রাখতে পারবে তো কর্তৃপক্ষ!
 
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এ পর্বে তাদের এগিয়ে রাখছে আগের অভিজ্ঞতা। তাছাড়া ডিপোতে থাকা প্রতিটি কোচই রাত ৮টার পর চলাচল করে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। এতে করে কোচের খুঁটিনাটি দেখে নেয়া যাচ্ছে সহজেই। এ মাসেই নয় নম্বর স্টেশন পাড়ি দেবে ট্রেন। এরপর ধাপে ধাপে অক্টোবরে বাণিজ্যিক যাত্রা করবে।
 
প্রথম পর্বে কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া কিংবা পল্লবী স্টেশন ওঠানামার জায়গা নিয়ে কম ভোগান্তি হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এ পর্বে এক্সিট ও এন্ট্রি কাজে দেয়া হয়েছে বাড়তি গুরুত্ব। সচিবালয় আর কারওয়ানবাজারের মতো স্টেশনগুলোর ঝামেলা মিটিয়ে এ মাসেই সিভিলওয়ার্ক শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘আমাদের সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ হলো সচিবালয়ের পাশে স্টেশন নিয়ে, এটিও সমাধান করা হয়েছে। আমাদের প্রায় সব স্টেশনের কাজ ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। ভায়াডাক্টের ওপর যে কাজটা ছিল, সেটা শতভাগ শেষ হয়েছে। আমাদের একটা টার্গেট আছে, সেই অনুসারে কাজগুলো শেষ করতে পারলে এ মাসেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
 
তিনি বলেন, প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ধাপে ধাপে স্টেশন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
 
একনজরে ঢাকা মেট্রোরেল প্রজেক্ট
ঢাকা মেট্রোরেল হলো ঢাকার একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। ২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকার ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এর অধীনেই প্রথমবারের মতো ঢাকায় মেট্রোরেল স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। 
 
মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএমটিসিএল
২০১৬ সালে প্রণীত সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে ঢাকায় নির্মিতব্য মেট্রোরেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৬-কে নির্বাচন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন-৬-এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রোলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এ নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর এমআরটি লাইন ৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করেন। এর মধ্যদিয়ে ঢাকায় মেট্রোরেল আংশিক চালু হয়। ২৯ ডিসেম্বর থেকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় এটি। শুরুতে শুধু উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) এবং আগারগাঁও এ দুটি স্টেশনে ট্রেন থামত।
 
প্রকল্পের বর্ণনা
২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট তথা মেট্রোরেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয়।
এমআরটি লাইন ৬-এর মানচিত্র
প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য এমআরটি-৬ নামক ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথকে নির্ধারণ করা হয়। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা দেবে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে দুদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।
 
এমআরটি-৬-এর চূড়ান্ত রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো- উত্তরা তৃতীয় ধাপ-পল্লবী-রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে (চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত।
 
এ রুটের ১৬টি স্টেশন হচ্ছে: উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর। ট্রেন চালানোর জন্য ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩.৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা নেয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। এর জন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাঁ ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
 
২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে শুরু হয় ঢাকা মেট্রোর নির্মাণকাজের সূচনা। এমআরটি-৬-এর স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট। এদিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণ শুরু হয়।  ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণ শুরু হয়। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারিত হয়, যা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে, এমআরটি-৬ লাইনের প্রথম পর্যায়ের দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এবং তিনিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম যাত্রাটি করেন। এটিই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেট্রোরেল, যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের জন্যে খুলে দেয়া হয়।
 
দ্বিতীয় পর্যায়
এমআরটি-৬ লাইনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর কথা রয়েছে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ কমলাপুর পর্যন্ত চালু হতে পারে।
 


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত

টিআইবি’র দেওয়া বিজ্ঞপ্তির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়

রপ্তানিমুখী শিল্পে সহায়তার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন

মুরগির দাম বাড়িয়ে ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা লুট: পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন

‘ধর্মের নামে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তানপন্থী মহল’

নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে শেখ হাসিনা!

গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের পক্ষে গণজোয়ার; অন্যদলের নেতাকর্মীরাও অভিভূত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ : মামলা চলবে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে

লালমনিরহাটে ২১ মাদক ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

১০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি

উন্নয়নের ধারা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছেছে : শেখ হাসিনা