বাংলাদেশের গর্ব পদ্মা সেতু। এই সেতু বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রচেষ্টায় তৈরি করে বিশ্বের সামনে নিজেদের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এই সেতুটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই নাগরিকদের মধ্যেই উৎসাহের শেষ নেই। এই সেতুটি শেখ হাসিনা সরকারের পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের অন্যতম নিদর্শন।
বাংলাদেশের ঐতিহ্য পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয় গত বছর। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরই এখান থেকে আদায় করার টোল ধাপে ধাপে বাংলাদেশের রাজস্ব বৃদ্ধি করতে শুরু করে। এক বছরে যে পরিমাণ টোল এই সেতু থেকে আদায় হয়েছে তা বাংলাদেশের অন্য কোন জায়গা থেকে হয়নি। পাশাপাশি এই সেতুর উদ্বোধনের পরই ঢাকার সঙ্গে ২১ টি জেলা সড়কপথে যুক্ত হয়।
পদ্মা সেতু এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে যানবাহনের পাশাপাশি ট্রেনও চলতে পারবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কবে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। অবশেষে সেই কৌতূহল দূর করলেন রেল মন্ত্রকের সচিব হুমায়ুন কবীর। তিনি শুক্রবার যশোরের বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই কবে থেকে পদ্মা সেতুর ওপর ট্রেন চলাচল করবে তা সম্পর্কে জানান।
হুমায়ুন কবীর পদ্মা সেতু হয়ে বেনাপোল ট্রেন যাতায়াতের সম্ভাব্যতা যাচাই করতেই স্টেশন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জানান, ‘২০২৪ সাল থেকেই পদ্মা সেতু হয়ে বেনাপোল-ঢাকা ট্রেন চলাচল করবে।’ এর পাশাপাশি তিনি জানান বেনাপোল স্টেশনের আধুনিকীকরণ অবিলম্বে করা হবে এবং যাত্রীদের সুবিধা প্রদানের জন্য স্টেশনে বিশ্রামাগার করা হবে। এছাড়াও বহিরাগতরা যাতে স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারেন সেই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালানো হবে।
পদ্মা সেতুর ওপর ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে যানবাহন যাতায়াত করছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আর সেই অপেক্ষাতেই বসে রয়েছেন দেশের কোটি মানুষ।