জ্বালানি তেলের খরচ সাশ্রয়ে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন স্থগিত রেখে মঙ্গলবার থেকে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার থেকেই ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করার পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার জন্য লোডশেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করেছে দুই বিতরণ সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)।
ডিপিডিসি ও ডেসকো নিজেদের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবারের (১৯ জুলাই) লোড শেডিংয়ের সূচি প্রকাশ করেছে। দেশের বাকি এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা বাকি চার কোম্পানিও আলাদাভাবে নিজেদের সূচি গ্রাহকদের জানিয়ে দেবে।
ডিপিডিসি ও ডেসকোর আওতাধীন এলাকাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ জায়গায় দিনে একবার লোড শেডিংয়ের সূচি দেয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকার একাধিকবার লোড শেডিংয়ের কথা জানানো হয়েছে।
ডিপিডিসির সময়সূচী দেখুন এখানে
https://dpdc.org.bd/site/nocs/load_shedding
ডেসকো’র সময়সূচী দেখুন এখানে
https://drive.google.com/file/d/1aFNBfE72MdDk3J6LjbGCPedAieyfSrJe/view?usp=drivesdk
এছাড়া বৈঠকে রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে দোকানপাট, শপিংমল, সরকারি-বেসরকারি সব অফিসে ভার্চুয়ালি বৈঠক এবং মসজিদে নামাজের সময় বাদে এসি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। লোকসান কমাতে বৈঠকে সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।
একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিস ভার্চুয়ালি করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।