1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

১৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস। এ দিনটিকে দেশের মানুষ ‘গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস’ হিসেবেও চিহ্নিত করে থাকে। সমগ্র জীবনের লড়াই সংগ্রাম আর সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষহীন মনোভাব ও দৃঢ় নেতৃত্বগুণে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ রূপে এ দেশের গণমানুষের হৃদয়ে যখন প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তখন তাকে অবরুদ্ধ করার অর্থ যে গণতন্ত্রকেই অবরুদ্ধ করা সে কথা সহজে সবাই উপলব্ধি করতে পারে। তাই আমরাও নির্দ্ধিধায় স্বীকার করে নিই যে, ১৬ জুলাই বাঙালির ইতিহাসে আরেকটি কালো দিন। কারণ, এ দিনেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগারে অন্তরীণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক ভিন্ন ধরনের উদ্ভট শাসন ব্যবস্থা কায়েমের উদ্দেশ্য তৎকালীন বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নানাভাবে নানা রকমের অপতৎপরতা শুরু করেছিল। এ দেশের বিকাশমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে একপ্রকার গলা টিপে হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যেই তারা জননেত্রীকে আটক ও কারাগারে অন্তরীণ করে।

বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তাদের প্রশ্নের জবাবে তিনি দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষায় তার প্রয়াসের কথা জানান- যা স্বাভাবিকভাবেই তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানাবিধ কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। অনেকে মনে করেন গনতন্ত্রের পক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ অবস্থানের কারণেই তাকে আটক ও অন্তরীণ করা করা হয়।

মিথ্যা, বানোয়াট, হয়রানিমূলক ও নীল নকশার ষড়যন্ত্রের বহু-বিচিত্র একাধিক ‘চটকদার ও সাজানো’ মামলায় তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার করে। ১/১১ সৃষ্ট অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে। তারা দেশের বরণ্যে বহুসংখ্যক নেতাকেও গ্রেপ্তার করে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের পাশাপাশি গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে জাতির শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বদেরকেও তারা সে সময় গ্রেপ্তার করে। একই কাতারে তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও মিথ্যা ও উদ্ভট মামলায় গ্রেপ্তার করে। বাঙালির অধিকার আদায়ের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা সে দিন ভোরে যখন ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য জননেত্রীর বাস ভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই জননেত্রী দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠির মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই চিঠিটি ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত সুদূর প্রসারী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞার পরিচায়ক। কারাবরণের পূর্বে এই চিঠিতেই তিনি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে যান। পাশাপাশি, একই চিঠিতে তিনি গণতন্ত্র সুরক্ষায় দেশের মানুষের জন্য রেখে যান আবেগদীপ্ত কিন্তু যৌক্তিক আহ্বান।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বানোয়াট ও কল্পিত মামলায় গ্রেপ্তার করে তাকে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং তাকে বন্দি করে ঢাকার সিএমএম আদালতে নিয়ে যায়। আদালতের গেটের সামনে দাঁড়িয়েই এ দেশের গণমানুষের নেতা শেখ হাসিনা ৩৬ মিনিট বক্তৃতা করেছিলেন। তার ঐ বক্তৃতাও ছিল জাতির জন্য এক যুগান্তকারী দিকনির্দেশনা। তিনি তার সে দিনের ভাষণে তৎকালীন অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন, তাদের অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে জাতিকে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শও প্রদান করেছিলেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সে সময়ের অবৈধ ও অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা ও নির্দেশ অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম শুরুর প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার জামিন আবেদন বিধিবহির্ভূতভাবে না-মঞ্জুর করে দেন মেট্রোপলিটন আদালতের মেজিস্ট্রেট। বিশ্ববাসী বিচারের নামে এক বিরাট প্রহসনেরও স্বাক্ষী হয় সে দিন! গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগারে অন্তরীণ করার অর্থ দেশের গণতন্ত্রকেও অন্তরীণের সামিল! মূলত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের লক্ষও ছিল অনুরূপ। আর তারা তাদের সে লক্ষ পূরণে ‘তিন মাসে’র আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রায় দুই বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ-দখল করে। উপরন্তু, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘বিধিবদ্ধ’ কর্মকাণ্ড ছাপিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প পরিচালনার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা ও শাসনকালকে প্রলম্বিত করেছে।

আমরা দেখেছি জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে শেখ হাসিনাকে অন্তরীণ করা হয়। গণতন্ত্রের মানসকন্যাকে কারাগারে বেশি দিন আটকে রাখে এমন নৈতিক জোর অনির্বাচিত সরকারের ছিল না। তাই আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপোষহীন এবং দৃঢ় মনোভাব সর্বোপরি বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তৎকালীন সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১১ মাস কারাবন্দি রাখার পর তৎকালীন স্বৈরতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ১১ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসে বিভিন্ন অঘটনের মধ্যে ১৬ জুলাই একটি। অর্থাৎ ১৬ জুলাইকে বাঙালির ইতিহাসে আরেকটি কালো অধ্যায় হিসেবেও আমরা বিবেচনা করতে পারি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দিনটিকে কালো দিবস তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার ‘কারাবন্দি’ দিবস হিসেবে পালন করে। ‘কারাবন্দি’ দিবস হিসেবে এ দিনটি পালনের মধ্য দিয়ে দলের নেতাকর্মীগণ তাদের স্ব-স্ব গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধকে আরো ক্ষুরধার করার প্রয়াস পান, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামী চেতনাকে আরো শাণিত করার প্রয়াস পান। আমরা মনে করি, যাবতীয় কালো, যাবতীয় অন্ধকারকে প্রবল পরাক্রমে পেছনে ঠেলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালির ভাগ্যাকাশে একদা যেমন মুক্তির পতাকা উড়াতে সহায় হয়েছিল, তেমনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও আওয়ামী লীগই এ দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছে- আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে। এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নানা প্রতিকূলতা আর প্রতিবন্ধকতা পশ্চাতে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাঙালির আত্মমর্যাদা যেমন নিশ্চিত হয়েছে তেমনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ গড়ে তোলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিাও নিশ্চিত হবে।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমরা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে গণতন্ত্র ধ্বংসের উপর্যুপরি অপপ্রয়াস দেখেছি। দেখেছি সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন নিপীড়নের ভয়ংকর চিত্রও। এই সময়েই আমরা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ একাধিকবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য হাওয়া ভবনের বিশেষ তৎপরতাও দেখেছি। দেখেছি দেশের ৬৩ জেলায় একদিনে একই সাথে বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে ত্রাস সৃষ্টির অপপ্রয়াসও। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাবও আমরা দেখেছি। তাদের এসব আচরণ, অপপ্রয়াস ও অপচেষ্টার পথ ধরেই ২০০৭ সালে সৃষ্টি হয়েছিল ১/১১-র ইতিহাস!

১/১১-র কুশীলবগণ নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশের গণতন্ত্রকে নির্মূলের প্রয়াস পেয়েছিলেন। তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা অনেককে দৌড়-ঝাঁপ করতেও দেখেছি। রাজনীতি থেকে দুই নেত্রীকে সরিয়ে ফেলার ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা সে সময় জনপ্রিয় করে তোলার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই দুঃসহ শাসনামলে আমরা দেখেছি জননেত্রীর অবর্তমানে শত-সহস্র প্রতিকূলতার মধ্যেও শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার নিরন্তর প্রয়াসে ব্যস্ত ছিলেন জিল্লুর রহমান এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সেনা সমর্থিত সেই বিভ্রান্তিকর সময়ে যখন রাজনীতিতে গোপনে গোপনে নানা হিসেব নিকেষ ও মেরুকরণ চলছিল তখন নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি সৃষ্টির যাবতীয় অবকাশ দূর করার অদম্য প্রয়াস চালিয়ে গেছেন এ দুজন নির্ভীক ব্যক্তিত্ব। শুধু তাই নয় শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার জন্য এ দুজনের নেতৃত্বেই সংগঠিত হয়েছিল আপোষহীন আন্দোলন।

রাজনীতিকে ভিন্ন পথে ধাবিত করার লক্ষ্যে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সহস্র দুরভিসন্ধির মধ্যেও জননেত্রীকে মুক্ত করার জন্য দুজনের নেতৃত্বে সারা দেশে স্বাক্ষর অভিযান শুরু করে আওয়ামী লীগ। এই স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায় এবং প্রায় এক কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ হলে তৎকালীন সরকারের নৈতিক মনোবল নড়বড়ে হয়ে যায়।
এ দিকে কারাগারে অন্তরীণ জননেত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার উন্নত চিকিৎসার দাবি ওঠে। এমতাবস্থায় ২০০৮ সালের ১১ জুন তৎকালীন সরকার শেখ হাসিনাকে জামিনে মুক্তি দেয়। মুক্ত শেখ হাসিনার সঙ্গে সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা আলোচনায় বসেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। চিকিৎসা শেষে ওই বছরের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তখন আওয়ামী লীগের আন্দোলনে আরো গতির সঞ্চার হয়। এই আন্দোলনের ফলেই ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সে নির্বাচনের পরবর্তী ইতিহাস আজকের এই দিনটি পর্যন্ত সাফল্যের সাথে বিস্তৃত!

আওয়ামী লীগ প্রতি বছর ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস পালন করে। এ দিনটি বিশেষভাবে পালনের মধ্য দিয়ে সংগাঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ নিজে যেমন শক্তি অর্জন করে তেমনি সমৃদ্ধও হয়। পাশাপাশি, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও অন্যায়, অবিচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা সঞ্চার করে। প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে অদম্য স্পৃহারও সঞ্চার ঘটে। যে স্পৃহা প্রেরণায় পরিণত হয়, যে প্রেরণায় প্রতিটি নেতাকর্মী নতুন শক্তি নিয়ে দলের সঙ্গে তার সম্পৃক্তিকে আরো নিবিড় ও গভীর করো তোলার অবকাশ পান। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহস, দৃঢ়তা ও নৈতিক মনোবল দলের সকল নেতাকর্মীর পাথেয় হোক। কারাবন্দি দিবসে আমরা জননেত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালীরূপে গড়ে তোলার জন্য সকল নেতাকর্মীর প্রতি এই বলে আহ্বান জানাই যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে সঞ্জীবিত হয়ে প্রত্যেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, দৃঢ়তা ও নৈতিক শক্তির ঔজ্জ্বল্যে স্নাত হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় তার সহযাত্রী হয়ে উঠুন।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ - রাজনীতি