1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রাশিয়ার নজর এখন ইরানের সামরিক ড্রোনে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০২২

সামরিক ড্রোন নির্মাণে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে ইরান- এমনটাই দাবি করে থাকে দেশটির সামরিক বাহিনী ও আইআরজিসি। বিভিন্ন সময়ে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে ইরানের ভূগর্ভস্থ ড্রোন ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ইয়েমেন ও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে ইরানি ড্রোনের।

এবার ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের জন্য অস্ত্র বহনে সক্ষম শত শত ড্রোনের জন্য ইরানের দ্বারস্থ হয়েছে রাশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ইরান এরই মধ্যে রাশিয়াকে কোনো ড্রোন সিস্টেম সরবরাহ করেছে কি না তা জানা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে দেশটির কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা ইঙ্গিত দেয় যে ইরান এই মাসের মধ্যে রুশ বাহিনীকে তাদের নির্মিত ড্রোন ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সোমবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘আমাদের তথ্য ইঙ্গিত করে যে ইরান সরকার রাশিয়াকে অস্ত্র বহনে সক্ষম ড্রোনসহ কয়েক শ ড্রোন সরবরাহ করার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করছে।’

ইরান স্বল্প, মধ্যম ও দূরপাল্লার ড্রোন তৈরি করে থাকে। সম্প্রতি ড্রোন থেকে ছুড়তে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে দেশটি। রাশিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র ইরান। সম্প্রতি সিরিয়া ইস্যুতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে।

এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চীনের কাছে অস্ত্র সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া। তবে সে সময় ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এমন দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করা হয়নি।

হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান
তবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে হালকা ও ভারী যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ ইউক্রেন পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

দোনবাসের বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।


সর্বশেষ - রাজনীতি