1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মানুষের সেবায় পুলিশের ঈদ উদযাপন

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১০ জুলাই, ২০২২

যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে সামর্থ্য অনুয়ায়ী পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

তবে ঈদের আনন্দ সবার জন্য উপভোগ্য হয় না। পেশাগত কারণে মানুষের নিরাপত্তাকেই গুরুত্ব দিয়ে ঈদের দিন কেটে যায় পুলিশ সদস্যদের। অন্যের ঈদ নির্বিঘ্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখা পুলিশ সদস্যরা। কর্মস্থলেই অন ডিউটিতে থেকে পালন করতে হয় তাদের ঈদ উৎসব। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বা কষ্টও নেই। নগরবাসীর নিরাপত্তা ও ঈদ আনন্দ নির্বিঘ্ন করতেই পরিবারের সান্নিধ্য বঞ্চিত পুলিশ সদস্যরা সবার মাঝেই নিজেদের ঈদ আনন্দ খুঁজে পান। তবে অনাবিল আনন্দের এ দিনটিও তাদের কাছে অন্যান্য দিনের মতোই।

রোববার (১০ জুলাই) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত শুরু হয়। জাতীয় মসজিদে ঈদ জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে।

ঈদ জামাত শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে কথা হয় সেখানে দায়িত্বরত পল্টন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) মোহাম্মদ জলিলুর রহমানের সঙ্গে।

জলিলুর রহমানের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে। মুসলমানদের প্রধান দুটো ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ছুটি পাননি তিনি। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা আমাদের দায়িত্ব, তারপরও একটু কষ্ট তো থাকেই। আমার সামনে দিয়ে দেখা যায় একজন তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে নামাজে এসেছেন। আর আমার বাচ্চাটা বাসায়, তখন খারাপ লাগে। তবুও দেশের স্বার্থে, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা দায়িত্ব পালন করি।’

‘ঈদে তো সবাইকে ছুটি দেওয়া সম্ভব হয় না। আমি দুই ঈদেই ছুটি পাইনি। যখন মানুষ আমাদের এ সেক্রিফাইসকে মূল্যায়ন করে তখন অনেক ভালো লাগে। মানুষের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই।’

পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া আমার দায়িত্ব, এটা তো করতেই হবে। পরিবার ছাড়া ঈদ পালনতো কখনই সুখকর নয়। কিন্তু পেশাগত কারণে দায়িত্ব পালন করতেই হয়। ঈদে তো সবাই ছুটি পাবো না। ঈদুল ফিতরেও আমি ছুটি পাইনি। সব পরিবারই তো চায় তার সন্তানের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। কিন্তু যেহেতু এখন এ পেশায় আছি, তাই তারাও অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, ঈদের নামাজ আমরা ধাপে ধাপে আদায় করি। মূলত প্রথম জামাতেই মানুষ বেশি নামাজ পড়েন। আর কোরবানির ঈদে মানুষ প্রথম জামাতে নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন, নামাজ শেষে তারা পশু কোরবানি করেন। যেহেতু বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত হয়, তাই আমরা ধাপে ধাপে নামাজ আদায় করি।

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে দায়িত্বরত মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, এ চাকরি দিয়েই আমরা পরিবার চলে। সুতরাং এখানেই আমার ঈদের আনন্দ। পরিবার নিয়ে ঈদ করার সুযোগ পাই না। তবে মানুষের সেবা দেওয়ার মধ্যদিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার অভ্যাস হয়ে গেছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত