1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

করোনা দুর্যোগে কৃষকদের পাশে শেখ হাসিনার সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০

করোনা দুর্যোগে কৃষকদের পাশে রয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। করোনার কারণে শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকদের জমির পাকা ধান যাতে ঘরে তুলতে সমস্যা না হয়, সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কেটে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সুপার-সাইক্লোন ‘আম্ফান’ এবং কোভিড-১৯ এর মতো দুটি দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দেশব্যাপী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকঋণ গ্রহীতাদের দুই মাসের সুদ মওকুফ করতে সরকারের পক্ষ থেকে বাজেটের আগে দুই হাজার কোটি টাকার নতুন আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দেন। এই দুই হাজার কোটি টাকাসহ সরকার ঘোষিত ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজের মোট পরিমাণ দাঁড়াল এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকা যা জিডিপির ৩.৭ শতাংশ।
করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে সচল রাখতে আগে প্রণোদনা ঘোষণার পাশাপাশি বোরো ধান ক্রয়ের জন্য ৮৬০ কোটি টাকা এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ২০০ কোটি টাকা প্রদান করেছে শেখ হাসিনা সরকার। হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার সরবরাহ করেছে সরকার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কৃষকদের জন্য আউশ ধানের বীজ ও সার বিনামূল্যে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বোরো মৌসুমে সর্বমোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার কৃষি প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এই প্রণোদনা থেকে কৃষকরা ৯% সুদের স্থলে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে মাঠে ফসল চাষ করতে পারবেন। এ ছাড়াও ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার। ডিএপি সারের মূল্য প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকায় নির্ধারণ করেছে সরকার। আর এবারই প্রথম বীজে ভর্তুকি প্রদান করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বোরো ধান উত্পাদন সংগ্রহের ক্ষেত্রে আজ আমরা সফল। এই মৌসুমে ধান উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ৬ লক্ষ টন। এবার আউশের আবাদ গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩ লক্ষ হেক্টর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ বছর ১৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ করা হবে এবং উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়েছে ৩৭ লাখ মেট্রিক টন।
জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ চাল উত্পাদনে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে সারা বিশ্বে তৃতীয়। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষির অগ্রগতিতে আমরা আরো অনেক দূর এগিয়ে যাব।
কৃষিকাজে জমি আবাদে প্রায় শতভাগ যান্ত্রিকীকরণের ছোঁয়া লেগেছে। শস্যের সব পর্যায়ে যান্ত্রিকীকরণের ছোঁয়া লাগাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে ৫৭ হাজার কৃষিযন্ত্রপাতি কিনে দেয়া হবে কৃষককে।
নতুন প্রকল্পের আওতায় ধান ও গমের জন্য ১৫ হাজার ও ভুট্টার জন্য ৫০০টিসহ মোট সাড়ে ১৫ হাজার কম্বাইন হারভেস্টার দেয়া হবে। এছাড়া ছয় হাজার রিপার ও তিন হাজার রিপার বাইন্ডার, পাঁচ হাজার রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, পাঁচ হাজার সিডার বা বেড প্লান্টার, পাঁচ হাজার পাওয়ার থ্রেসার দেয়া হবে। এছাড়া পাঁচ হাজার মেইজ শেলার, পাঁচ হাজার ড্রায়ার, ১ হাজার ৫০০টি পাওয়ার স্প্রেয়ার, তিন হাজার পটেটো ডিগার, ৫০০টি ক্যারেট ওয়াশার ও দুই হাজার আলুর চিপস তৈরির যন্ত্র কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে।
অনলাইনে মৌসুমি ফলসহ কৃষিপণ্য কেনাবেচার জন্য অনলাইন মার্কেট প্লেস ‘ফুড ফর ন্যাশন’ ও ‘কৃষকের বাজার’ চালু করা হয়েছে।
ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। বিশ্বের মোট ইলিশের ৮০ ভাগই বাংলাদেশে হয়। গবাদিপশু উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
একটি নিম্ন আয়ের দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়ে উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তার প্রধান কৃতিত্ব শেখ হাসিনা সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের। তিনি দেশকে মর্যাদা ও সম্মানে বিশ্ব পরিমন্ডলে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন।


সর্বশেষ - রাজনীতি