‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যাদেরকে চাকরি দেয়া হয়েছে, তারা একেবারেই অযোগ্য’ শিরোনামে জামাত-শিবিরের পরিচালিত কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এম হাফিজউদ্দিন খান।
ছাত্র শিবির ও ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের দ্বারা বিকৃত করা বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
প্রচারিত কিছু গুজব ও কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর নামে মিথ্যা বক্তব্য প্রচারের সূত্র উল্লেখ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, “কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আছে বলে শুনেছিলাম, কিন্তু এখন দেখছি তাদের মূল সম্বলই গুজব।”
সরকারি চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থায় সংস্কার প্রশ্নে বাংলাদেশে যে তীব্র বিতর্ক চলছে তা নিয়ে বিবিসিতে প্রদত্ত সাক্ষাতকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেসব নামমাত্র পোর্টালে আমার বিকৃত বক্তব্য প্রচার হয়েছে তাদের কাউকে আমি চিনি না। আমার বক্তব্য ছিল ৭৩ ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে যোগ্য যেমন ছিল তেমনি অনেক অযোগ্যও স্থান পেয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আমার বক্তব্যকে পুরোপুরি বিকৃত করে গোটা মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে জেনারেলাইজ করা হয়েছে যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং নিন্দনীয়।”
হাফিজউদ্দিন খান ক্ষুব্ধ কন্ঠে আরো বলেন, “যেখানে আমি বলেছি তাদের মধ্যে অনেক ভালো অফিসারও ছিলেন, যাদের অনেকে আমার সঙ্গে কাজ করেছে, সেখানে তারা যদি বক্তব্য না পড়ে এমন সংবাদ প্রচার করে তাহলে তাদের উচিত নয় নিজেদের মেধাবী বলে দাবি করা।”
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আমি আপত্তি জানাই নি। প্রার্থী পাওয়া যায় না উল্লেখ করে সংস্কারের পক্ষে অভিমত দিয়েছিলাম।
উল্লেখ্য, গুজব, মিথ্যাচার ও বিভিন্ন জনের বক্তব্য বিকৃত করে প্রচারণা চালানোকে জামাত শিবিরের বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করে সাধারণ জনগণ। তাই তাদের প্রচারিত সংবাদ সত্যি হলেও অনেকে সন্দেহ পোষণ করে যাচাই করেন। কোটা বিরোধী আন্দোলনে জামাত শিবির নেতৃত্বে থাকার কারণে ঠিক তাই ঘটেছে। ইতিপূর্বে তারা মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে গত ৮ই এপ্রিল অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। তখন থেকে এখন অবধি বিভিন্ন প্রখ্যাত ব্যক্তিদের বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করে আসছে।
কোটা আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব হোসেন ও মডারেটর নিশাদ সুলতানা সাকিসহ কয়েকটি আইডি থেকে হাফিজউদ্দিন খানকে নিয়ে অপপ্রচার করতে দেখা গেছে। পরিচিত নয় এমন পোর্টালের লিংক তাদের মাধ্যমে প্রচারের কারণে উক্ত পোর্টালগুলোর সাথে কোটা নেতাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।