সন্তানদের অযত্ন আর অবহেলার শিকার বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের কাছে নীলফামারীর নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রম যেন এক আশীর্বাদের নাম। নিজ ঘরে যাদের জায়গা মেলে না, তাদের ঠাঁই হয় এ নিবাসে। পরম মমতায় ও যত্নে ঘরছাড়া এসব বাবা-মায়েদের সেবা করেন বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সাজুদার রহমান। জানা গেছে, বৃদ্ধশ্রম প্রতিষ্ঠার ৬ বছরে ২৭ জন বাবা-মাকে আবারও সন্তানদের কাছে ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
সন্তানদের পেছনে জীবনের বড় একটা অংশ ব্যয় করার পরও যাদের নিজ বাড়িতে জায়গা হয়নি, তাদের মাথা গোঁজার ঠাই হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে। সমাজের অসহায় বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের নির্মমতা দেখে ব্যথিত সাজু, ২০১৮ সালে গড়ে তোলেন এ বৃদ্ধাশ্রম। যেখানে নিজ ভালোবাসায় ও যত্নে অন্যের বাবা-মাকে দেখাশোনা করেন তিনি।
নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিষ্ঠাতা সাজুদার রহমান সাজু এ প্রসঙ্গে বলেন, বিধবাদেরকে বিধবা ভাতা দেয়া হচ্ছে। আজ পর্যন্ত কোনো বিধবা কখনও না খেয়ে ছিলেন না।
এ বৃদ্ধাশ্রম নিজ হাতে সেবা ও যত্ন করে তাদের সুস্থ করে তোলেন। এরপর ফিরিয়েও দেন নিজ ঠিকানায়, সন্তানের কাছে। প্রতিষ্ঠার ৬ বছরে সন্তানকে বুঝিয়ে ২৭জন বাবা-মাকে নিজ ফেরাতে সক্ষমও হয়েছেন সাজু।
উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সাজু সম্পূর্ণ নিজ খরচেই পরিচালনা করেন বৃদ্ধাশ্রমটি। একজন পরিচারিকা থাকলেও তার বেতন-ভাতা প্রায়ই ঠিকঠাক দেয়া হয়ে ওঠে না। বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রমটিতে ২৩ জন অসহায় প্রবীণ রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে সকলের সহযোগিতা চান সাজু।