1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ভোটারদের ঢল

নির্বাচন ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্তও শঙ্কা ছিল ভোটাররা উপস্থিতি নিয়ে। কারণ মেয়র পদে অনেকটা একতরফাভাবে হচ্ছে নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত কাউন্সিলরদের মধ্যে। ফলে আশা ছিল কাউন্সিলরাই কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন ভোটারদের। ভোট শুরু হওয়ার ২ ঘণ্টা না পেরুতেই সব শঙ্কা কেটে গেছে।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোট শুরুর আগেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, ভোটার সংখ্যা তত বেড়েছে। সকাল ১০টায় আটকোষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে ভোটার চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

এই কেন্দ্রে চারটি ভবন, দুটি ভবনে নারী এবং দুটি ভবনে পুরুষের জন্য লাইন আছে এবং প্রতিটি লাইনেই উপচেপড়া ভিড়। দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য জানান, কেন্দ্রে প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথ একই হওয়ায় চাপ সামলানো যাচ্ছে না।
এ সময় গরমে অনেককে হাত পাখা নিয়ে বাতাস করতে দেখা গেছে।
 
সামাদ মণ্ডল নামে ভোটার বলেন, ‘সাড়ে আটটা থেকে এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারলাম না।’ 
 
ইভিএমের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘একটু পর পর শুনছি মেশিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমরা কখন ভোট দেব?’
 
একই অভিযোগ সুলতানা নামে এক নারীর। তিনি ঘণ্টাখানেক হয়েছে এখানে এসেছেন, কিন্তু লাইন এগিয়ে যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বয়স্করা বুঝতে পারছে না কীভাবে ভোট দিতে হবে। তাদের বুঝিয়ে দিতে সময় লাগছে, ফলে সবাই ভোগান্তিতে পড়ছে।
 
আটকোষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, এই এলাকায় ভোটার বেশি, তাই চাপ পড়েছে। আর সবাই সকালে আগে ভোট দিয়ে আগে চলে যাবেন- এমন চিন্তা থেকে এসেছেন। ফলে ৪টি বুথ থাকলেও চাপ সামলানো যাচ্ছে।
 
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী তিনজন। তারা হলেন: আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বয়কট করেছেন।
 
এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। ১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ছয়জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীও রয়েছেন।


সর্বশেষ - রাজনীতি