রোগাক্রান্ত এবং ক্ষতিকর ওষুধে মোটাতাজা করা প্রাণী এবার বিক্রি হবে না চট্টগ্রামের কোরবানির হাটে। এ জন্য জেলার স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলে ২২২টি হাটে থাকবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ৭৩টি মেডিক্যাল টিম। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সংস্থাটি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘এবার হাটে রোগাক্রান্ত কোনও প্রাণী বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া ক্ষতিকর ওষুধে প্রাণীকে মোটাজাত করা হয়েছে– এমন তথ্য পাওয়া গেলে কিংবা কেউ অভিযোগ করলে তা যাচাই করে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই প্রাণী হাট থেকে বের করে দেওয়া হবে। এবার নগরী ও জেলা মিলিয়ে ২২২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাটের সংখ্যা ৬০টি এবং অস্থায়ী হাটের সংখ্যা ১৬২টি। এসব হাটে তদারকিতে থাকবে ৭৩টি মেডিক্যাল টিম।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, ২২২টি হাটের মধ্যে মীরসরাইয়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ২১টি, সীতাকুণ্ডে ১০টি, সন্দ্বীপে ১৪টি, ফটিকছড়িতে ৩০টি, রাউজানে ২২টি, রাঙ্গুনিয়ায় ২০টি, হাটহাজারীতে ৭টি, বোয়ালখালীতে ১২টি, পটিয়ায় ১০টি, চন্দনাইশে ১৪টি, আনোয়ারায় ১৫টি, সাতকানিয়ায় ৭টি, লোহাগাড়ায় ১৬টি, বাঁশখালীতে ১১টি, কর্ণফুলীতে ২টি, কোতয়ালিতে ৪টি, ডবলমুরিংয়ে ৫টি এবং পাঁচলাইশে ২টি গবাদি প্রাণীর হাট বসছে। এসব হাট তদারকিতে থাকবে ৭৩টি মেডিক্যাল টিম।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে এবার কোরবানিতে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি প্রাণীর সম্ভাব্য চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় খামারে এবং কৃষকদের কাছে বিক্রিযোগ্য প্রাণী রয়েছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি। যার মধ্যে গরু ৫ লাখ ২৬ হাজার ৩২৫টি, মহিষ ৭১ হাজার ৩৩৩টি, ছাগল ও ভেড়া ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪০৫টি এবং অন্যান্য প্রাণী ১০২টি।
