1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পরিত্যক্ত জমিতে আমবাগান করে লাখ টাকা আয়

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের উত্তর-ধরান্দী ধনিয়া পুরা গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ মো. মশিউর রহমান ঈসা। পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিকাজ আগ্রহ ছিল তার। ২০১৩ সালে ১৭০ শতাংশ জমিতে মল্লিকা ও আম্রপালি জাতের আম চাষ শুরু করেন। এখন ওই আমবাগান থেকে প্রতি মৌসুমে লাখ টাকা আয় করছেন তিনি। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকে আমবাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

মশিউর রহমান ঈসা কমলাপুর ইউনিয়নের উত্তর-ধরান্দী ধনিয়া পুরা গ্রামের হাজি আব্দুল মাজেদ হাওলাদারের ছোট ছেলে।

জানা গেছে, মশিউর রহমান ঈসা নিজ গ্রামে প্রথমে ২০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ড্রাগন ফলে তেমন সফলতা অর্জন করতে না পারলেও ১০০টি আম গাছ দিয়ে এক মৌসুমে দুই টনেরও বেশি আম উৎপাদন করেন। ২০১৩ সালে রাজশাহী থেকে প্রথম ১০০টি মল্লিকা ও আম্রপালি জাতের আমের চারা কলম নিয়ে আসেন পটুয়াখালীতে। দীর্ঘ সময় পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে ২০২২ সালে প্রথম গাছে ফল আসে। সে বছর এক টনের মতো আম বিক্রি হয় বাগান থেকে। এই আম সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হওয়ার কারণে দাম বেশি ও লাভজনক। এলাকার অনেক চাষি আমবাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে কেউ কেউ এই জাতের আমবাগান গড়ে তোলার উদ্যোগও নিয়েছেন।

এ বছর মশিউর রহমান ঈসা তার বাগানের আম বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। প্রথম দিকে প্রতি মণ আম ৩ হাজার ২ ০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে আমের দামও তত বাড়ছে। কারণ বাজারে বিভিন্ন জাতের আমের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় এই আম বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে দেখা যায় এ বছর দুই লাখ টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা করছেন এই উদ্যোক্তা।

হেলাল চৌধুরী নামে এক আমচাষি বলেন, এ জাতের আম মৌসুমের শেষে উত্তোলন হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশি ও ভালো দাম পাওয়া যায়। সেজন্য ঈসার দেখাদেখি এ বছর আমিও কিছু জমিতে এ জাতের আম চাষের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া অনেকেই এই আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

আমচাষি মশিউর রহমান ঈসা বলেন, আমাদের পরিত্যক্ত যে জমি ছিল সেখানে আমি আমবাগান করি। প্রথমে যখন বাগানটা করি তখন খুব চ্যালেঞ্জের মুখে ছিলাম। আমার ইচ্ছা আছে মানুষ যেন কোনো ধরনের ফরমালিন ও মেডিসিন ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে আম খেতে পারে। আমার এই বাগানের আম একদম প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়ে থাকে। গাছে যখন আম পরিপক্ব হয় তখন আমি আম পেড়ে থাকি এবং অনলাইনে ও বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি। আলহামদুলিল্লাহ আমার আমবাগান থেকে অনেক টাকা আয় হয়। আমার এই বাগান দেখে এলাকার অনেক যুবকও এগিয়ে এসেছে এবং আমার কাছ থেকে কলম নিয়েছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পটুয়াখালী সদর উপজেলায় এ বছর ৯৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আমাদের পটুয়াখালীতে দিনের পর দিন নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। কারণ এই অঞ্চল এখন আমবাগান করার জন্য উপযোগী হয়ে উঠছে। কেউ আমের বাগান গড়ে তুললে আমাদের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। উদ্যোক্তা ঈসা সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে আম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি এই মৌসুমে লাখ টাকার ওপরে আম বিক্রি করবেন। তার আমগুলো বেশিরভাগ অনলাইনে বিক্রি হয়ে থাকে।

 


সর্বশেষ - রাজনীতি