1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

স্বপ্নের পদ্মা সেতু : সাফল্য সক্ষমতা গন্তব্য

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

প্রমত্তা পদ্মার ওপর নির্মিত স্বপ্নের সেতুর উদ্বোধন ২৫ জুন। এই সেতুর উদ্বোধন এবং এর ওপর দিয়ে চলাচল শুরুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার সঙ্গে যোগাযোগে সময় ও দূরত্ব উভয়ই হ্রাস পাবে। ফলে এসব অঞ্চলের সাথে সমগ্র দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো নিবিড় ও ত্বরান্বিত হবে। এই যোগাযোগের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিশেষজ্ঞগণের অনুমান পদ্মা সেতু চালুর ফলে আমাদের জিডিপিতে আরো অতিরিক্ত ১.৩০% থেকে ১.৭০% পর্যন্ত যু্ক্ত হবে- যা সামষ্টিক প্রবৃদ্ধিকে শক্তিশালী করবে। অথচ অদৃষ্টের কী নির্মম পরিহাস! পদ্মা সেতু প্রকল্প গ্রহণের প্রাথমিক পর্যায়ে কল্পিত দুর্নীতির গাল-গল্প ও কিসসা-কাহিনি তৈরি করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চরিতার্থের লক্ষ্যে দেশের কিছু অর্থনীতিবিদ এবং সুশীল সমাজের কেউ কেউ একে অপচয় ও সরকারের অদূরদর্শিতা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন! শুধু কি তাই? এদের কেউ কেউ আবার তাদের স্ব স্ব আন্তর্জাতিক প্রভাব কাজে লাগিয়েও বিশ্বব্যাংককে নিরুৎসাহিত করেছেন! জামায়াত-বিএনপির প্রভাবপুষ্ট এদেশের খ্যাতিমান সুশীল ব্যক্তিদের নেতিবাচক অপপ্রচারে বিশ্বব্যাংকও প্রভাবিত হয়েছে- প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গেছে! এসব পুরোনো কথা! চীন, জাপান, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি-আরবসহ বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের সক্ষমতা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই বার্তা আমাদেরকে নব নব প্রেরণায় উজ্জীবিত করবে।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণ সামনে রেখে নানা তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে বৈকি। মনে পড়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ দিকনির্দেশনা ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে উপরোক্তদের ব্যঙ্গ বিদ্রূপ উপেক্ষা করেই আজ আমরা স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম ও সফল হয়েছি। সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদ্মা সেতু নিয়ে যেসব ব্যঙ্গাত্মক ‘ট্রল’ হয়েছিল সেসব ঘুরেফিরে আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে- কিন্তু এখন উপস্থাপনায় বৈপরীত্য! সেসব কনটেন্টের ধারাভাষ্য ও বিপ্রতীব! সে সময়ের ‘জনপ্রিয় বচন’ আজ ‘আস্তাকুড়ের প্যাঁচাল’ হিসেবে মানুষ রঙ্গ – তামসায় উপভোগ করছেন! উপভোগ করছেন মির্জা ফখরুলের বক্তব্য : ‘দেশে পদ্মা সেতুর দরকার নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) পদ্মা সেতু তৈরি করে, কর্ণফুলি টানেল তৈরি করে যেটা সম্পূর্ণ ভাবে অপ্রয়োজনীয়।’ ব্যারিস্টার মওদুদ বলেছিলেন : ‘সেতু নির্মাণ করা তাদের লক্ষ ছিল না। এই সরকারের ২৪০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া ছিল মূল লক্ষ!’ রাজনীতি না করলেও অনেকে বিএনপির বক্তব্যকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সমর্থন করেছেন!

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মিত হোক সুশীল সমাজের খ্যাতিমান ব্যক্তিরা তা চাননি! ‘সুজন’ সম্পাদক বদিউল আলম বলেছিলেন : ‘দুর্নীতি আমাদের কীভাবে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে তার আরেকটি উদাহরণ এটি (পদ্মা সেতু)। জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।’ অথচ পদ্মা সেতু চালু হলে উন্নয়নে ব্যাপক গতির সঞ্চার ঘটবে বলে দেশি-বিদেশি অর্থনীতিবিদগণ মতামত দিয়েছেন। শুধু তাই নয়- জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়নেও পদ্মা সেতুর ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ‘সুজন’ যে সমীকরণে এরূপ মন্তব্য করেছিল জাতির কাছে তাও স্পষ্ট হয়েছে। পদ্মা সেতু দুর্নীতি (!) নিয়ে সরকারের ওপর ‘নাখোশ’ অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও। তিনি বলেছিলেন : ‘প্রথম অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব হলো- এই অভিযোগ অস্বীকার করে যাওয়া। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সরকার দাতা গোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করতে পারেনি।’ টিআইবি-র প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান একধাপ এগিয়ে সরকার এবং দুদকের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন : ‘এই ঘটনা (পদ্মা সেতু দুর্নীতি) নিয়ে তদন্ত করার সামর্থ্য আছে কি না দুদকের, সেটি নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। এই ঘটনা তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা তাদের আছে কি না সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’ অথচ কেবল দুদক নয়- আন্তর্জাতিক আদালতের তদন্তেও পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।

পদ্মা সেতু নিয়ে সবচেয়ে হাস্যকর ট্রল বেগম খালেদা জিয়ার। তিনি বলেছিলেন : ‘এখন পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে (আওয়ামী লীগ)। কিন্তু পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। সেই সেতুতে উঠা.. যদি জোড়াতালি দিয়ে বানায় সেই সেতুতে কেউ উঠতে যাবেন না। অনেক রিস্ক আছে। সেই সেতুর ওপর ভরসা করা যাবে না। এই হলো অবস্থা।’ আরেকবার বলেছিলেন : ‘পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে করতে পারবে না তারা। এবং আমরা বলেছিলাম জনগণের কাছে- একটা নয় দুইটা পদ্মা সেতু করবো। একটা করবো মাওয়া দিয়ে আর একটা পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ঐ দিক দিয়ে।’ একবার তিনি ব্যঙ্গচ্ছলেও বলেছিলেন : ‘পদ্মা সেতুর সব জিনিসপত্র নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।’ বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় তার এসব বক্তব্য সে সময় কিছু নেতাকর্মীকে উজ্জীবিত করলেও বতর্মানে তা চরম হাস্যকররূপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে! মানুষ এসব ভাষণ শুনে যেমন হাস্যরসাত্মক আনন্দ উপভোগ করছেন তেমনি বিএনপির দুরভিসন্ধিও উপলব্ধি করছেন। আগে যারা উচ্ছ্বাসিত ছিলেন আজ তাদের মুখখানি এখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন!

পদ্মার ওপর সেতু হবে- এরূপ স্বপ্ন ছিল আমাদের। আমাদের এই স্বপ্ন নিয়ে ‘রাজনীতি’রও কোনো শেষ ছিল না! বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পদ্মা সেতুর লোভ দেখিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি-কোটি মানুষের সাথে ‘রাজনীতি’ করেছে! মিথ্যা প্রবঞ্চনার মাধ্যমে মানুষকে প্রতারিতও করেছে। রাজনীতির মতো ষড়যন্ত্রও হয়েছে অনেক, হয়েছে চক্রান্তও! কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও মানুষের উন্নয়ন চেয়েছেন বলে তাদেরকে লোভের বদলে ‘স্বপ্ন’ দেখিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে শুধু দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলই নয়- সমগ্র দেশবাসীকে উজ্জীবিত করেছিলেন। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যই পদ্মা সেতু আমাদের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সেই প্রয়োজন উপলব্ধি করে অগ্রাধিকারে বিবেচনায় নিয়েছিলেন। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সমীক্ষা শেষে একদা বিশ্ব ব্যাংকও অর্থায়নে এগিয়েও আসে। কিন্তু আমাদের প্রয়োজনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাংকও অপরাজনীতি করেছিল। সেই অপরাজনীতি, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে আরো গভীরতর করে তোলেন এদেশেরই বিখ্যাত কিছু ব্যক্তি। মিথ্যা দুর্নীতির গাল-গল্প ও কিসসা-কাহিনি শুনিয়ে নানাভাবে এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করাসহ বিশ্ববাসীর কাছে বাঙালির আত্মমর্যাদাকেও তারা ধুলিসাৎ করেছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সৃষ্ট সেসব মিথ্যা গাল-গল্প ও কিসসা-কাহিনি এবং দেশি-বিদেশি প্রভাবশালী ব্যক্তির তদবিরের প্রভাবিত হয়ে বিশ্ব ব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশবাসীকে দেয়া তার প্রতিশ্রুতি ভুলেননি। বিশ্ব ব্যাংকের এরূপ আচরণে বাঙালির আত্মমর্যাদাবোধে যে আঘাত লাগে তাতে কিছু রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সুশীল সমাজ খুশি হলেও সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের যে আত্ম-অহংবোধ ছিল আমরা শেখ হাসিনার চরিত্রেও তারই প্রতিচ্ছবি দেখি। তাই বিশ্ব ব্যাংকের দুর্বিনীত আচরণের প্রতিবাদে পাল্টা চপেটাঘাতের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের। এত বিরাট এক প্রকল্প বাংলাদেশের মতো অর্থনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয় বলে অনেকে শেখ হাসিনার স্বপ্নকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের সঙ্গে ব্যঙ্গবিদ্রূপের সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণ আসন্ন বলে আমাদের মনে সেসব দুঃসহ স্মৃতি পুনরায় ভেসে উঠছে। প্রচন্ড জেদ, আত্মবিশ্বাস এবং অমর্যাদার প্রতিশোধ গ্রহণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শেখ হাসিনা ২৫ জুন কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন! বলার অপেক্ষা রাখে না, সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নিন্দুকের মুখ কালো হয়েছে, সেতুর অর্থায়নে বিরোধিতাকারীদের মুখও চুন হয়েছে- মুখে চুনকালিও পড়েছে!

এত বিরোধিতা, এত ষড়যন্ত্র এত বিরূপ সমালোচনার মধ্য দিয়ে যে সেতু সফলভাবে নির্মিত হলো, যে সেতুটির সফল উদ্বোধন হতে চলেছে তা যে একেবারে নির্ভেজাল সরল আনন্দে মুখরিত এক অনুষ্ঠান হবে সে ভরসাও আমরা করতে পারছি না! চারিদিকে সক্রিয় থাকা ষড়যন্ত্রের জাল এখনো
ব্স্তিৃত! তাই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়েও আমাদের শংকার শেষ নেই! দেশের মানুষের এত বড় সুখের একটি দিনেও আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের শিকারে পরিণত হতে পারি! যার অদম্য উৎসাহ, সাহস, ধৈর্য ও আত্মমর্যাদার অমিত গৌরবের জন্য স্বপ্নের পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হতে চলছে সেই জননেত্রী শেখ হাসিনাও দেশবাসীকে এদিন আনন্দ করার পাশাপাশি সতর্ক থাকারও আহবান জানিয়েছেন। সেতুর উদ্বোধনী নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যখন নাশকতার আশংকা করেন তখন তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় করতে হবে।

আমাদের এও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে যে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। আগুন লেগেছে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে, আগুন লেগেছে ট্রেনসহ একাধিক পোশাক শিল্প কারখানায়। এসব অগ্নি-দুর্ঘটনার সবগুলোই কি নিছক ‘দুর্ঘটনা’ই ছিল নাকি এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্রও ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সীতাকুণ্ডের অগ্নি-দুর্ঘটনাকে নাশকতা হিসেবেই বেশি সন্দেহ করা হচ্ছে। আমরাও যখন দেখি দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক এরকম দুর্ঘটনা (বা নাশকতা) ঘটে চলেছে দুর্বৃত্তরা তখন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কোনো না কোনো রকমের ঘটনা ঘটিয়ে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। অতএব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে সাবধান ও সতর্ক থাকতেই হবে। আবার, আমাদেরকে এও মনে রাখতে হবে যে, পদ্মা সেতুর কেবল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই নয় বছরের প্রতিটি দিন সেতুর ওপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতে হবে। তা না হলে যে কোনো অঘটন ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেত্রীর তির্যক ভাষণে ব্যক্ত ‘জোড়াতালির সেতু’ হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করবে! অতএব শুধু আনন্দ নয়- জাতির এই বৃহত্তর স্থাপনা সুরক্ষায়ও প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে।

সিলেট ও রংপুর বিভাগের অনেক অঞ্চল এখন বন্যা কবলিত। তাই পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মতো বৃহত্তর একটি মহাযজ্ঞে আমরা শতভাগ আনন্দ করতে পারছি না। দুঃখ, দুর্দশা, দুর্ভোগ ও দুর্যোগের মধ্যে থেকেও সকলের মনে এই প্রতিজ্ঞা দৃঢ় হোক যে, জননেত্রীর দৃপ্ত পদক্ষেপে আমরা আমাদের স্বপ্ন যখন সফল করতে সক্ষম হয়েছি তখন পদ্মা সেতুর এই সাফল্য ও সক্ষমতার অপার স্পর্ধা বুকে নিয়ে জননেত্রীর আরেক স্বপ্ন ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গন্তব্যে ২০৪১ সালের মধ্যেই পৌঁছাতে সক্ষম হবো। আমরা মনে করি পদ্মা সেতু কেবল নদী পারাপারের সেতু মাত্র নয়- ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ’ রাষ্ট্রে পৌঁছানোরও সেতু। স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনার ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ’ রাষ্ট্রের গন্তব্যে আমরা তার নেতৃত্বেই পৌঁছাবো। কিন্তু সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করে বিএনপি জাতিকে কোথায় নিয়ে যেতে চায় সাধারণ মানুষকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ - রাজনীতি