1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ভ্যানচালক-চা বিক্রেতার মেয়ে যাচ্ছে পর্তুগাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল রাঙাটুঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমীর সদস্য কাকলী আক্তার। সম্প্রতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরের দেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে সে। তিন মাস ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পর্তুগাল যাচ্ছে কাকলী। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে তার এমন সাফল্যতে আনন্দিত সুশিল সমাজ।

রাণীশংকৈল পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেম ও বানেসার মেয়ে কাকলী আক্তার (১৬)। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। নিজস্ব বসতভিটা ছাড়া আবাদি কোন জমি নেই কাকলীদের। ঋণের টাকায় একটি ভ্যান কিনেন তার বাবা। সেই ভ্যান চালিয়ে যা আয় হত তা দিয়েই চলতো ভরণ-পোষণ। আয়ের তুলনায় পরিবারের চাহিদা বেশি থাকতো তাদের। তবে কিছুই করার ছিল না। উপার্জন আসার কোন রাস্তা ছিলনা তাদের। যা হত কষ্ট করে নিজের সংসার চালিয়ে নিতেন কাকলীর মা বানেসা।

দিন আসতো দিন যেত, অভাব যেন দূর হতোনা কাকলীদের। তার মা বানেসা নিজের কাছে জমানো কিছু টাকা দিয়ে শুরু করেন চা বিক্রি। রাস্তার ধারে ছোট একটি দোকানে চা বিক্রি করেই পরিবার ও কাকলীর অর্থের যোগান দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ বাবা চালান ভ্যান আর মা করে যাচ্ছেন চা বিক্রি। তবে মেয়ের দেশের বাইরে যাওয়ার কথা যেন সব কষ্ট ভুলিয়ে রেখেছে তাদের পরিবারকে।

কাকলীর মা বানেসা বলেন, ‘আমার মেয়েটা বাইরের দেশে যাচ্ছে এটা গর্বের বিষয়। সবাই দোয়া করবেন তার জন্য’। কাকলীর বাবা আবুল কাশেম বলেন, ‘যেখানে যাই সেখানকার লোকজন খোঁজ খবর নেয়। চা খাওয়ায় আর কাকলীর গল্প করে। তখন বুকটা আনন্দে ভরে উঠে’।

কাকলী আক্তার বলেন, ‘দেশের বাইরে গিয়ে ফুটবলকে আরো রপ্ত করতে চাই। জীবনের স্বপ্নগুলোর মধ্যে একটি স্বপ্ন হলো কখনো বড় কিছু হলে রাঙাটুঙ্গি মাঠকে উন্নত করব ইনশাআল্লাহ’। রাঙাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একজন মেয়ে হয়ে সমাজের নানা কথা ও প্রতিকূলতা কাটিয়ে আজকে সে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি কাকলী আক্তার উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে’।

রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার পৌরসভার এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান কাকলী। আজকে সে ফুটবলের উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য পর্তুগাল যাচ্ছে। এটি আমাদের পৌরসভার জন্য একটি খুশির খবর। তার জন্য সবসময় শুভ কামনা থাকবে’। এভাবে মেয়েরা খেলাধুলার পাশাপাশি সবকিছুতে এগিয়ে এসে দেশ ও জেলার নাম উজ্জ্বল করবে। কাকলীর মত মেয়েরা সমাজের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এগিয়ে যাবে নারীরা এমটাই আশা সুশিল সমাজের।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত

বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’ মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব পাচ্ছে জাপান

‘বাংলাদেশের কোনো মানুষই টিকা বঞ্চিত হবে না’

বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে আলোচনা, ‘লিজেন্ডস ম্যাচ’ হবে দক্ষিণ এশিয়াতে

আল জাজিরার অপসাংবাদিকতা থেকে সচেতন ও সতর্ক থাকুন

সাড়ে তিন হাজার গার্মেন্ট শ্রমিককে ২১ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার

দেশে জি-৩ রুই মাছ চাষে নতুন সম্ভাবনা

ঢাবি ছাত্রীকে নুরের হুমকি দেওয়ার ‘প্রমাণ পেয়েছে’ পুলিশ!

নির্মূল হবে দরিদ্রতা : আসছে কর্মসূচি

ভোলায় ভেসে আসা নৌযানটি জাহাজ নয়, প্রকল্পে ব্যবহৃত জলযান