1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

চালের অবৈধ মজুতের তথ্য জানতে কন্ট্রোল রুম

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

চালের অবৈধ মজুতের তথ্য জানতে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

ওই মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামাল হোসেন বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনটি ফোন নম্বরের মাধ্যমে যে কেউ চালের অবাধ মজুত সম্পর্কে জানাতে পারবেন। তথ্য জানাতে +৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩, ০১৭৯০৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩০০৩৫০৬ নম্বরে ফোন করে তথ্য দিতে অনুরোধ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গল ও বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এসব অভিযানে চাল ব্যবসার লাইসেন্স আছে কি না এবং অনুমোদনের বেশি মজুত করা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফুড গ্রেইন লাইসেন্স যাচাইয়ের পাশাপাশি খাদ্যশস্যের ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদও যাচাই করে দেখছেন অভিযান পরিচালনাকারীরা। একইসঙ্গে মিল গেটে কী মূল্যে চাল বিক্রি হচ্ছে, তা দেখা হচ্ছে।

রাজধানীতে গত দুই দিনের অভিযানে দেখা গেছে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অভিযান শুরুর পরই দোকান বন্ধ করে বা ফাঁকা রেখে সরে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদেরও অনেকে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সে ব্যবসা করছেন।

খুচরা বা পাইকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা কী পরিমাণ মজুত রাখতে পারবেন সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই ব্যবসায়ীদের। আবার ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতার কারণে দোকানে কী পরিমাণ মজুত আছে তার কোনো সঠিক হিসাব পাননি অভিযানে নামা কর্মকর্তারা।

তবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, লাইসেন্স করা থাকলে সংশ্লিষ্ট দোকানি ৩০ দিনে ৩০০ টন চাল মজুত রাখতে পারবেন। আর লাইসেন্স না থাকলে মোটামুটি ৫০ টন রাখার সুযোগ রয়েছে।

অভিযোগ আছে, মিলাররা ধান-চাল মজুত করে রাখছেন। একইভাবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনের নীতি অনুমোদনের বাইরে গিয়ে ধান-চালের ব্যবসায় নেমেছে। তারা প্যাকেটজাত আকারে সেগুলো বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বাড়তি দামে বিক্রি করছে। এতে চালের ক্রয়ক্ষমতা ভোক্তার সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।

খোলা বাজার থেকে চাল কিনে তা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা যাবে না বলে স্পষ্ট খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বুধবার চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ওই সময় দেশের বাজারে চালের আকষ্মিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য ছয়টি শিল্পগ্রুপ স্কয়ার, প্রাণ, সিটি, আকিজ, বসুন্ধরা ও এসিআইকে দায়ী করেন মন্ত্রী।

এই ছয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে সাধন চন্দ্র বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি যে, এই সার্কুলার জারি করা যায় কি-না, যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবেন তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবেন না। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবেন। এটা আলোচনা চলছে।’


সর্বশেষ - রাজনীতি